একাদশে ভর্তিতে যুক্ত হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ কোটা, বাদ পড়ছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৯:১১
অ- অ+

চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির একটি খসড়া নীতিমালা এরই মধ্যে তৈরি করা হয়েছে। নীতিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। তবে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আনা হতে পারে কোটা বণ্টনের ক্ষেত্রে। এতে নতুন করে যুক্ত হতে পারে জুলাই গণঅভ্যুত্থান কোটা। যেখানে গণঅভ্যুত্থানে আহত বা তার পরিবারের সদস্যরা বিশেষ সুবিধা পেতে পারেন।

একই সঙ্গে নীতিমালা থেকে বাদ পড়তে পারে মুক্তিযোদ্ধা কোটা। স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রায় ৫৫ বছর পর এসেবীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটারাখার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে মনে করছেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এজন্য কোটায় কলেজে ভর্তিতে আসন ফাঁকা বা সংরক্ষিত রাখার যৌক্তিকতা দেখছেন না তারা।

নীতিমালা চূড়ান্ত করা নিয়ে রোববার (১৩ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠক থেকে একাদশে ভর্তির চূড়ান্ত নীতিমালা অনুমোদন করা হতে পারে।

২০২৪ সালে প্রণীত সবশেষ নীতিমালা অনুযায়ীএকাদশ শ্রেণিতে বর্তমানে মেধা কোটায় ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হয়। অর্থাৎ সবার জন্য ৯৩ শতাংশ আসন উন্মুক্ত। বাকি শতাংশ বিভিন্ন কোটায় ভর্তি করানো হয়। যার মধ্যে শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য। বাকি শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন ২৮টি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য রাখা হয়।

বিষয়ে ঢাকা বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তারা জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা প্রথা বাতিল করার পক্ষে মতামত দেবেন তারা। নাতি-নাতনি কোটা বাতিল হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য একাদশ শ্রেণিতে এখন আর কোটা রাখার প্রয়োজনীয়তা নেই। তাছাড়া পোষ্য কোটা নিয়েও দীর্ঘদিন সমালোচনা রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের সুবিধা দেওয়ারও পক্ষে নয় শিক্ষা বোর্ডগুলো।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, জুলাইয়ে যারা সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হয়েছে, তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও কারণে হয়তো ভালো ফল করতে পারেনি। যেহেতু ফলাফলের ভিত্তিতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়, সেক্ষেত্রে তারা বঞ্চিত হবে। এদিক থেকে গণঅভ্যুত্থান কোটা রাখাটা জরুরি। সেটা হয়তো সাময়িক সময়ের জন্য হবে। অর্থাৎ, আগামী দুই বা তিন বছরের জন্য কোটা থাকবে। পরে বিলুপ্ত করা হবে।

শিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহেই শুরু হবে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ। তিনটি ধাপে আবেদন মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা করছে মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।

(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/এলকে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সিরাজগঞ্জে সরকারি অফিস ‘দখল করে’ জামায়াতের কার্যালয়ে
গণবিরোধিতার কারণে বিশেষ গোষ্ঠীকে দেশের মানুষ অনেক আগেই হলুদ কার্ড দেখিয়েছে: সেলিম উদ্দিন 
চিলড্রেন্স পার্টি কথাবার্তা শুনে আমাদের বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই: মির্জা আব্বাস 
খুলনায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষ, রেল যোগাযোগ বন্ধ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা