নিবন্ধন স্থগিত হলেও ইসির তফসিলে থাকছে ‘নৌকা’, অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে না ‘শাপলা’

নিবন্ধন স্থগিত হলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’ প্রতীক আপাতত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচনী প্রতীকের তফসিল থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দাবি সত্ত্বেও এখনই ‘শাপলা’ প্রতীক তফসিলে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ।
রবিবার বিকালে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, "আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ হলেও নির্বাচনী প্রতীকের তালিকা থেকে নৌকা প্রতীক আপাতত বাদ দেওয়া হচ্ছে না। কারণ, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের জন্যই নির্বাচন কমিশনের তফসিলে নির্ধারিত প্রতীক সংরক্ষিত থাকে। কোনো দলকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলে প্রতীক বাতিল করার সুযোগ নেই।"
তিনি আরও বলেন, "নির্বাচনী প্রতীক কমিশনের অভ্যন্তরীণ সম্পদ, দলীয় অবস্থার ভিত্তিতে তা হঠাৎ করে বাদ দেওয়া হয় না।"
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শাপলা প্রতীক দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, "যেকোনো দল যেকোনো প্রতীক চাইতে পারে। তবে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী প্রতীকের তফসিলে যেহেতু 'শাপলা' নেই, সেহেতু এখনই তা অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে না।"
এর আগে রোববার বেলা ১১টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে এনসিপির একটি পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ অন্যান্য নেতা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “আমরা ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দের আবেদন জানিয়েছি। যদি নির্বাচন কমিশন অযৌক্তিকভাবে এ প্রতীক না দেয়, তাহলে আমরা রাজনৈতিকভাবে এর বিরুদ্ধে লড়ব। এ প্রতীক আমাদের সাংগঠনিক পরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।”
তিনি অভিযোগ করেন, কমিশনের প্রতীক তালিকায় পরিবর্তনের জন্য ‘নতুন দলগুলোর প্রতি বৈষম্য’ করা হচ্ছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কমিশনের প্রতীক তালিকায় কোনো নতুন প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করতে হলে কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এটি তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্তে যুক্ত হয় না।
(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/এলএম)

মন্তব্য করুন