ঠাকুরগাঁওয়ে খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাংবাদিকদের ‘ঝামেলা’
সাংবাদিকদের বাদ দিয়ে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও মিল মালিকদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করা নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকদের খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। পরে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এর নিরসন হয়।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায়র দিকে ঠাঁকুরগাওয়ের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। খাদ্য সংগ্রহ অভিযানকে সামনে রেখে মন্ত্রী এই জেলা সফরে গিয়েছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পূর্ব নির্ধারিত সভার আয়োজন করে। সভার শুরুতেই খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও মিল মালিকদেরকে নিয়ে আলাদা কথা বলার জন্য সভা থেকে সাংবাদিকদেরকে চলে যাওয়ার কথা বলেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এতে ক্ষুব্ধ হন সাংবাদকর্মীরা। পরে তাদের সভাস্থলে ডেকে আনা হলে বিষয়টি নিয়ে খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সংবাদকর্মীরা। এই নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তোরাব মানিক বলেন, ‘খাদ্য বিভাগের এ কোন ধরণের সভা যেখান থেকে সাংবাদিকদের বের করে দেওয়া হয়? আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বাক-বিতণ্ডা নয়, সংবাদকর্মীদের সাথে মন্ত্রীর ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। পরে ঠিক হয়ে যায়।’
সংরক্ষিত নারী আসন-১ এর সংসদ সদস্য সেলিনা জাহান লিটা, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদরুল হাসান, রংপুর বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তা রায়হানুল কবীর, জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাদেক কুরাইশী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কৃষকরা যেন ধানের ন্যায্যমূল্য পান সে জন্য ২ মে থেকে খাদ্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে সরকার, চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। চলতি বছর আট লাখ টন চাল ও সাত লাখ টন ধান কেনার পরিকল্পনা করেছে সরকার। চাল সরবরাহের জন্য চালকল মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার।
চলতি বছর ধানের ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ২৪ টাকা এবং চালের দাম ধরা হয়েছে ৩৪ টাকা।
ঢাকাটাইমস/১৬মে/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি
মন্তব্য করুন