সিলেট-৪: দুই দলেই রয়েছে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট জেলায় যে দুটি আসনে ভোট হয়েছে তার মধ্যে সিলেট-৪ আসন একটি। দেশের দুই প্রধান দলের একটি বিএনপি ওই নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে ভোটযুদ্ধে জয়ী হন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইমরান আহমদ। তবে আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে লড়াই আর একতরফা থাকবে না।
জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত এই সংসদীয় আসনে আগামী নির্বাচনে লড়ার জন্য ইতিমধ্যে নিজেদের উপস্থিতির কথা জানান দিতে শুরু করেছেন। দুই দলেই রয়েছে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। পাশাপাশি জাতীয় পার্টি থেকেও প্রার্থী থাকবে ভোটের লড়াইয়ে।
নবম নির্বাচনেও ইমারন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেবার বিএনপির দিলদার হোসেন সেলিমকে পরাজিত করে এমপি হন তিনি। ওই নির্বাচনে তার ভোট ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ১৯৮। প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম পান ৯৮ হাজার ৫৪৫ ভোট।
মনোনয়ন পাওয়ার জন্য ইমরানকে এবার অন্তত দুজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর মোকাবিলা করতে হবে। ফারুক আহমদ ছাড়াও গোয়াইনঘাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফজলুল হক নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
অধ্যক্ষ মো. ফজলুল হক গত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন; কিন্তু পাননি। এবার তিনি আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচনে মনোনয়ন পাইনি। এবার দল আমাকে মূল্যায়ন করবে বলে আমি আশাবাদী।’ তবে দলের যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে দলের কর্মী হিসেবে কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।
তবে এই আসনে শেষমেশ নতুন কোনো প্রার্থী আসতে পারেন বলেও মনে করছেন অনেকে।
বিএনপি থেকে প্রধান মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থী ধরা হচ্ছে সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিমকে। এ ছাড়া মনোনয়ন পেতে চান স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও সিলেট মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান।
এ ছাড়া জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করতে চান যুক্তরাজ্য জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও লন্ডনের সাপ্তাহিক বাংলা টাইমসের প্রধান সম্পাদক এটিইউ তাজ রহমান।
(ঢাকাটাইমস/৪জুন/মোআ)
মন্তব্য করুন