ভারতের হারে প্রবাসীরা খুশি, বাংলাদেশের ক্ষতি
ভারতীয়রা বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি সমর্থকের তুলনায় একটু বেশি সিরিয়াস। তারা মাঠে যায় কোমর বেঁধে। ওভাল ফাইনালেও গ্যালারির বেশিরভাগ দখলে ছিল ভারতীয় সমর্থকে। কিন্তু ৫৪ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে যাবার পর গ্যালারি খালি হতে শুরু করে। লন্ডনের বাইরের বিভিন্ন সিটি থেকেও অনেক ভারতীয় সমর্থকে আসেন খেলা দেখতে। কোহলিদের এমন হারে তারা শুধু হতাশ নন, ক্ষুব্ধও। অনেকেই গালাগালি করতে করতে গ্যালারি ছেড়েছেন।
ভারত পাকিস্তান ফাইনাল দেখা নিয়ে তেমন আগ্রহ ছিল না বাংলাদেশি কমিউনিটির লোকজনের মধ্যে। তবে টিভিতে বা মোবাইল ম্যাচের আপডেটে চোখ রেখেছেন অনেকেই। বেশিরভাগই মনে মনে ভারতের হার কামনা করেছেন। তবে তার মানে এই নয় যে, তারা পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছেন। তাদের হিসেবটা ছিল এমন, বাংলাদেশকে যেহেতু ফাইনালে উঠতে দেয়নি ভারত, তাই ফাইনালে ভারতকেও হারিয়ে দিক পাকিস্তান। তাতে সেমিফাইনালে হারের কষ্ট একটু হলেও কমবে প্রবাসীদের। ভারতের হারের খবর শুনে অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তাদের কথা, আমরা শিরোপা জিততে পারিনি ঠিক আছে ভারতও তো পারেনি। এটাই সান্ত্বনা।
অবশ্য প্রবাসীদের অনেকেই জানেন না যে, ভারতের এই হারে ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশের। ফাইনাল জিতে ২ পয়েন্ট পেয়ে র্যাঙ্কিংয়ের ছয় নম্বরে ওঠে গেছে পাকিস্তান। মানে আবার সাত নম্বরে নেমে গেছে বাংলাদেশ।
ভারতের কাছে হারার ফলে এক রেটিং পয়েন্ট কমে বাংলাদেশের হয়েছে ৯৪। অন্যদিকে ভারতকে হারিয়ে ২ পয়েন্ট পেয়ে পাকিস্তানের হয়েছে ৯৫ পয়েন্ট। ফলে এক মাসের ব্যবধানে আবার ৬ষ্ট স্থানে ফিরে গেছে পাকিস্তানে।
অবশ্য সপ্তম স্থানে নেমে গেলেও চিন্তার কারণ নেই। বাংলাদেশের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন ধাক্কা খাবে না এতে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ের আট নম্বরের নিচে নামার তেমন সম্ভাবনা নেই বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কা ৯৩ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে থাকলেও নয় নম্বরে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট মাত্র ৭৭। মানে বাংলাদেশের চেয়ে ১৭ রেটিং পয়েন্ট নিচে। তাই এই সময়ের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশের উপরে আসতে পারবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়।
২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে হবে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। সেখানে দশটি দল অংশ নিবে। সরাসরি খেলবে স্বাগতিক ইংল্যান্ডসহ র্যাঙ্কের সেরা সাত দল। বাকি দুটি দল আসবে বাছাই পর্ব থেকে। র্যাঙ্কিংয়ের নয় ও দশ নম্বর দল ও সহযোগী সদস্য দেশগুলো নিয়ে হবে ওই টুর্নামেন্ট।
(ঢাকাটাইমস/১৯জুন/ডিএইচ)
মন্তব্য করুন