বেয়াইনের নামে দুবাইয়ে ৪টি ফ্ল্যাট কিনেছেন লোটাস কামাল

সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী ও কুমিল্লা-১০ আসনের সাবেক এমপি আবু হেনা মোহাম্মাদ মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) তার বেয়াইন (মেয়ে নাফিসা কামালের শাশুড়ি) বিলকিস ইকবালের নামে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চারটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। দেশ থেকে অবৈধ উপায়ে টাকা পাচার করে কেনা হয়েছে ফ্ল্যাটগুলো। প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর নিজের ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য তুলে ধরেছেন।
সেখানে তিনি লিখেছেন, নাফিসা কামালের শাশুড়ি বিলকিস ইকবাল দাদার নামে মারসা দুবাই এলাকায় চারটি ফ্ল্যাট কিনেছিল সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। ২০১৭ সালে নাফিসা কামালের শাশুড়ি মারা যায়। নিশ্চয়ই কিলকিস ইকবাল চারটি ফ্ল্যাট ভোগ করে যেতে পারেননি বা দরকার পড়েনি। কারণ মানুষের থাকার জন্য একটা ফ্লাটই যথেষ্ট। তারপরও বেয়াইয়ের পাপের ভাগীদার। দেশের লুটের টাকা দুবাইতে পাচার করে কেনা হয়েছে তার নামে।’
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল ও তার মেয়ে নাফিজা কামাল। এই নাফিসা ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজি দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক। তিনি রিয়েল এস্টেট, আইটি পরিচালনা করেন এবং এল কে গ্রুপের মানব সম্পদ নিয়োগের ব্যবসা করেন। তবে বাড়ি কেনার বিষয়ে মোস্তফা কামাল বা তার মেয়ে নাফিসা কামালের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে পাচার করা অর্থে দুবাইয়ে সম্পদ গড়েছেন শত শত বাংলাদেশি। এই তালিকায় অনেকের নাম সামনে আসছে। একডজন করে প্রপার্টি কেনার তালিকায় আছেন কাজী মোহাম্মদ ওসমান, মোহাম্মদ সালমান, মোকাররম হোসেন ওমর ফারুকের নাম রয়েছে। আর সৈয়দ রুহুল হকের নামে কেনা হয়েছে ১১টি প্রপার্টি। তাছাড়া দশটি করে প্রপার্টি কেনার তালিকায় গোলাম মোহাম্মদ ভুইয়া, মোহাম্মদ আবদুল মজিদ আলী ও মোহাম্মদ এমরান হোসেনের নাম রয়েছে।
সূত্র বলছে, নিজ নামে আটটি করে ফ্ল্যাট-প্রপার্টি কেনার তালিকায় নাম রয়েছে ১০ জনের। এরা হলেন— ফারজানা চৌধুরী, ইয়ান উইলক, খুরশিদা চৌধুরী, এম সাজ্জাদ আলম, মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ ইলিয়াস বজলুর রহমান, নাসির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম আনু মিয়া, সামিরা আহমেদ ও তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরী।
নিজ নামে ছয়টি করে ফ্ল্যাট ও প্রপার্টি কেনার তালিকায় নাম আছে সাতজন। তারা হলেন— আবু ইউসুফ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, হুমাইরা সালিমুল হক এশা, মোহাম্মদ শফি আবদুল্লাহ নবী, মোহাম্মদ ওয়ালিউর রহমান, নাহিদ কোরেশি, সালিমুল হক এশা, সামিনা সালমান ও সৈয়দ সালমান মাসুদ। এছাড়া নিজ নামে চারটি করে ফ্ল্যাট ও প্রপার্টি কেনার তালিকায় নাম আছে ৩৭ জনের। তারা হলেন— আহমেদ ইমরান চৌধুরী, আহমেদ ইফজাল চৌধুরী, আলহাজ মিজানুর রহমান, আনজুমান আরা শহিদ, আনোয়ারা বেগম, আজিজ আল মাহমুদ, আজিজ আল মাসুদ, বিলকিস ইকবাল দাদা, চৌধুরী হাসান মাহমুদ, দেওয়ান শাজেদুর রহমান, ফারহানা মুনেম, ফাতিমা বেগম কামাল, গুলজার আলম চৌধুরী, হাসান আশিক তৈমুর ইসলাম, হাসান রেজা মাহমুদুল ইসলাম, ইফতেখার রানা, জুরন চন্দ্র ভৌমিক, খালেদ মাহমুদ, এমডি আবদুস সালাম, এমডি আবুল কালাম আরশাদ আলী, এমডি ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, এমডি রাব্বি খান, এমডি সেলিম রেজা, মিজানুর রহমান ভুইয়া, মোহাম্মদ আল রুমান খান, মোহাম্মদ মইন উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ মিরাজ মাহমুদ, মোহাম্মদ নাজির আহমেদ, মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান, মশিউর রহমান ভুইয়া, মোস্তফা আমির, মোস্তফা জামাল নাসের, এস ইউ আহমেদ, সৈয়দ মাহমুদুল হক ও সৈয়দ সামিউল হক। এর বাইরে তিনটি, দুটি ও একটি করে ফ্ল্যাট, ভিলাসহ বিভিন্ন প্রপার্টি কেনার তালিকায় নাম রয়েছে আরও অনেকের।
(ঢাকাটাইমস/১৫ডিসেম্বর/এসএস/এমআর)

মন্তব্য করুন