ভিলিয়ার্সে ভাগ্য ফিরবে রংপুরের?
প্রথম তিনটিতে দুই জয়, পরের তিনটিতে তিন হার- ছয় ম্যাচে এই হলো রংপুর রাইডার্সের পরিসংখ্যান। বিপিএলে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বরে নেমে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। মাথার ওপর বিষম চাপ নিয়ে আজ সিলেট সিক্সার্সের মুখোমুখি হচ্ছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। এই ম্যাচে রংপুর একাদশে দেখা যাবে বিশ্বনন্দিত ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্সকে। তার অন্তর্ভুক্তিতে নতুন আশায় বুক বেঁধেছে দলটির ভক্ত-সমর্থকরা।
বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখার পর ভিলিয়ার্সও শোনালেন আশার বাণী, ‘আশা করি, কাল প্রথম ম্যাচ খেলব, যদি একাদশে জায়গা পাই। নামগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায়, আমাদের স্কোয়াড দুর্দান্ত। খুব ব্যালান্সড দল। রংপুর রাইডার্সের অতীত সাফল্যের কথাও আমি জানি। প্রাথমিক পর্বের শেষ ছয় ম্যাচের জন্য একটু গতি খুঁজে পেতে হবে আমাদের। আশা করি, আমরা নকআউট পর্বে খেলতে পারব।’
রংপুরের ক্রিস গেইল, আলেক্স হেলসের মতো তারকারা এখনো জ্বলে উঠতে পারেননি। বিদেশিদের মধ্যে একমাত্র রাইলি রুশো রান পাচ্ছেন। কিন্তু একজনের ব্যাটে চড়ে আর কতদূর এগোনো যায়? শেষ দুটি ম্যাচে তারা হেরেছে ব্যাটিং ব্যর্থতায়। ভিলিয়ার্সের কাছে তাই আজ একটা ভালো ইনিংস প্রত্যাশা করবে তার দল। ৩৪ বছর বয়সী সাবেক এই প্রোটিয়া অধিনায়ক এখন পর্যন্ত ২৬১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৩৫.১৮ গড়ে ৬ হাজার ৯৩১ রান করেছেন। তিনটি সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে ৪৭টি হাফসেঞ্চুরি। লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে ভিলিয়ার্সের স্ট্রাইকরেটÑ ১৪৮.৪৪!
রংপুর কোচ টম মুডি আবার ভিলিয়ার্সের ওপর নির্ভরশীল হতে চান না। তিনি চান দলীয় ব্যাটিংটা যেন ভালো হয়। ঠিক রুশো যেমনটি করছেন। প্রতি ম্যাচেই স্কোরবোর্ডে কিছু না কিছু রান যোগ করে দিয়ে যাচ্ছেন। সিলেটের বিপক্ষে আগের ম্যাচেও ফিফটি করেছিলেন। কিন্তু অন্যরা বড় ইনিংস খেলতে না পারায় ম্যাচটা হেরে যায় রাইডার্স। আজ তাদের সামনে আবার সেই সিলেট। এই ম্যাচে বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই উন্নতি চান মুডি।
গতকাল ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে সিক্সার্স। তবে ওই ম্যাচে দলীয় অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার পেয়েছেন ফিফটির দেখা। আজও একটা ভালো ইনিংস খেলে দলকে জয় উপহার দিতে চাইবেন তিনি। কেননা, কনুইয়ের ইনজুরি কারণে এই ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরে যাবেন ওয়ার্নার। পরবর্তীতে বিপিএলে ফিরবেন কি না অনিশ্চিত।
দিনের অপর ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে খেলবে খুলনা টাইটানস। প্রথম দেখায় দারুণ একটা ম্যাচ উপহার দিয়েছিল দুদল। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ১৫১ রান সংগ্রহ করে খুলনা। পরে চিটাগংও ১৫১ রান করলে ম্যাচটা গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে টাইটানসকে হারিয়ে রুদ্ধশ্বাস জয় তুলে নেয় ভাইকিংস। খুলনার তাই এবার প্রতিশোধের পালা। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকায় এই ম্যাচে জয় অপরিহার্য হয়ে উঠেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের জন্য।
মুশফিকুর রহিমের ভাইকিংস অবশ্য চার ম্যাচে তিনটিতে জিতে সুবিধাজনক অবস্থানে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে বড় লক্ষ্য তাড়া করেও জিতেছে তারা। ওই ম্যাচে ৭৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে ভাইকিংসকে জিতিয়েছেন অধিনায়ক মুশফিক। দেখা যাক, আজ কি উপহার দেন মুশি।