বঙ্গবন্ধু কাপের সার্থকতা খুঁজে পেয়েছেন সুজন

করোনার শুরু থেকেই বেশ সাবধানী বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। দীর্ঘদিন বন্ধ রেখেছিল খেলা। অবশেষে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে ঘরের মাঠে ক্রিকেট ফিরিয়েছে টাইগার বোর্ড। এরপর পাঁচ দল নিয়ে শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। খালেদ মাহমুদ সুজন জানান, এই টুর্নামেন্ট নিয়মিত করতে পারলে তরুণ পারফর্মার খুঁজে পাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট।
এদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টির আসর খুব বেশি বসে না। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের মতো টুর্নামেন্টে বিদেশিদের আধিক্য থাকে বেশি। বিদেশি আর জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ভিড়ে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পান না তরুণ ক্রিকেটাররা। এবার পাঁচ দলীয় টুর্নামেন্ট হলেও, সেখানে বিদেশি রাখেনি বিসিবি। স্থানীয়দের নিয়ে আয়োজন করেছে বিশ ওভারের লড়াই।
চলমান এই টুর্নামেন্টে পরীক্ষিতদের সাথে পাল্লা দিয়ে পারফর্ম করছেন তরুণরা। কম যাচ্ছেন না ঘরোয়া লিগে খেলা রবিউল ইসলাম রবি, মুক্তার আলীরাও। এখানেই টুর্নামেন্টের সার্থকতা খুঁজে পেয়েছেন বেক্সিমকো ঢাকার হেড কোচ ও বিসিবি পরিচালক সুজন।
গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুজন বলেন, ‘আমি মনে করি এই টুর্নামেন্টের যেটা উদ্দেশ্য ছিল, সেটা বেশ ভালোভাবেই পূরণ হয়েছে। প্রত্যেকটা ম্যাচ দেখেন বেশ উত্তেজনাপূর্ণ গচ্ছে। আবার অনেক ছেলে পারফর্ম করছে যাদেরকে আমরা আশাই করিনি।’
এই টুর্নামেন্ট নিয়মিত আয়োজন করলে বাংলাদেশ ক্রিকেটে লাভ দেখছেন সুজন, ‘সাইফ হাসানের ব্যাপারে যে কথাটা উঠেছিল যে, সাইফ টি-টোয়েন্টি পারবে না। কিন্তু ও যেভাবে ব্যাট করেছে অনেককেই ভুল প্রমাণিত করে দিয়েছে। রবির কথা যদি বলেন, বিপিএল যদি ওভাবে হতো বিদেশি ক্রিকেটার থাকত, সে কোনও দলে খেলারই সুযোগ পেত না্’
‘এটা একট বড় সাইন যে আমাদের ছেলেরা খেলার সুযোগ পাচ্ছে। জায়গা মতো ব্যাটিং করার সুযোগ পাচ্ছে। সুতরাং ভবিষ্যতে এই টুর্নামেন্টটা যদি আমরা নিয়মিত করতে পারি, তাহলে আমার মনে হয় আগামী কয়েক বছরে আমরা বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটার পেয়ে যাব। যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো খেলবে, আমাদের ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করবে।’- যোগ করেন সুজন।
(ঢাকাটাইমস/১৪ ডিসেম্বর/এআইএ)

মন্তব্য করুন