নির্দেশনার দ্বিগুণ যাত্রী ট্রেনে, উধাও স্বাস্থ্যবিধি
আখাউড়া থেকে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছায় শনিবার বেলা সাড়ে বারোটায়। এই ট্রেনেই আখাউড়া থেকে এসেছেন আশরাফুল কবির। তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে পড়ে যান ট্রেন থেকে।
আশরাফুল কবির ঢাকাটাইমসকে বলেন, সক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন ছাড়তে সরকারের নির্দেশনা থাকলেও তার কিছুই মানা হয়নি। আমি যে ট্রেনে এসেছি টিকিট পাওয়া না গেলেও আসনের অতিরিক্ত যাত্রী উঠেছে।
আশরাফুল কবির আরও বলেন, ট্রেনে ওঠার ক্ষেত্রেও কোনো ধরণের স্বাস্থ্যবিধি মানার বাধ্যবাধকতা ছিল না। কোনো সিস্টেম নেই। রেলওয়ে কর্মীরা যোগসাজশে অতিরিক্ত যাত্রী তুলছে। টিকিট অর্ধেক বিক্রি করলেও বেশি মানুষ তুলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়েছে।
কমলাপুরে এসে টিকিট না কাটার দায়ে জরিমানা গুনেছেন রফিক মাহমুদ নামে এক যাত্রী। তিনি বলেন, আমি ট্রেনে টিকিট চেকারকে আড়া্ইশো টাকা দিয়েছি। সে আমার টাকা নিয়ে বলেছে বিমানবন্দর নেমে যেতে। আমি বললাম আমিতো কমলাপুর যাবো। তখন তিনি বললেন কমলাপুর গেলে জরিমানা দিতে হবে। আমাদের কাছে টিকিট নেই।
অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল করার কথা থাকলেও নির্দেশনার প্রথম দিনেই নিয়ম ভঙ্গ করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে তুলেছেন ধারণ ক্ষমতা অতিরিক্ত যাত্রী।
কমলাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ মাসুদ সারোয়ার বলেন, সরকারের যে নির্দেশনা ছিলো সেগুলোই আমরা পালন করছি। অন্যান্য স্টেশন থেকে কিভাবে যাত্রী উঠেছে সেটা আমি জানি না। তবে আমাদের এখানে কঠোরভাবে বিধিনিষেধ পালন করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে গত ১০ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে মাস্ক না পরলে জরিমানা করাসহ গণপরিবহনে অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খেতে হলে ভ্যাকসিন সনদ দেখাতে হবে।
গত ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া পর্যন্ত এই ১১ দফা নির্দেশনা মেনে চলতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বলা হয়। তবে গণপরিবহনের ক্ষেত্রে আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নির্দেশনা মেনে চলতে হবে বলে জানায়।
১১ নির্দেশনার ছয় নম্বরে ছিলো গণপরিবহনে চলাচলের নির্দেশনা। সেখানে বলা হয়েছিল, ‘ট্রেন, বাস এবং লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেকসংখ্যক যাত্রী নেওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকারিতার তারিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। সর্বপ্রকার যানের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা সনদধারী হতে হবে।’
ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/এসআর/এমআর