ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরানের নিয়োগ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিপক্ষে বিবৃতিতে সই না করা এবং এ বিষয়ে ড. ইউনূসের পক্ষে বক্তব্য দেওয়ায় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগের সলিসিটর রুনা নাহিদ আকতার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নিয়োগ বাতিল করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে অপসারণ করা হয় এমরানকে।
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি (বিবৃতি) পাঠিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় দেড় শতাধিক ব্যক্তি। তাদের মধ্যে শতাধিক নোবেলজয়ী রয়েছেন। এ বিষয়ে গত সোমবার হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটি বিচারিক হয়রানি।’
ওই খোলা চিঠির বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে- এমন দাবি করে এমরান আহম্মদ বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে এতে স্বাক্ষর করার জন্য নোটিশ করা হয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করব না।’
এর পরদিন মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ডিএজি (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল)। তিনি যদি সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন, তাহলে তাকে হয় পদত্যাগ করে কথা বলা উচিত অথবা অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি নিয়ে কথা বলা উচিত। তিনি সেটি করেননি। সেদিন দুপুরে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের ৫১১ নম্বর রুমের সামনে এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার নেমপ্লেট খুলে ফেলা হয়। পাশাপাশি তার কক্ষে থাকা মামলার সব ফাইল সরিয়ে নেন অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন>> কে এমরান ভূঁইয়া? কেন ড. ইউনূসের পক্ষে অব্স্থান?
একই দিন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে ড. ইউনূসের বিপক্ষে বিবৃতির কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। অন্য কোনো পক্ষকে খুশি করার জন্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া এটা বলেছেন। নিশ্চয়ই এখানে তার কোনো উদ্দেশ্য ছিল।
এদিকে পদ থেকে অব্যাহতির বিষয়ে জানতে চাইলে এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে গণমাধ্যমকে জানান, তিনি আশ্রয়ের জন্য আমেরিকান দূতাবাসে যাচ্ছেন। তিনি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
(ঢাকাটাইমস/০৮সেপ্টেম্বর/এমএইচ/জেএ/এফএ)

মন্তব্য করুন