আমরাও একদিন চাঁদে যাব: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৫:১৩ | প্রকাশিত : ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:৫২

বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতকে আরও এগিয়ে নিতে তার সরকার দক্ষ ও স্মার্ট জনশক্তি গড়ে তোলতে কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরাও একদিন চাঁদে যাব। বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকবে না।

তিনি বলেন, আশপাশের দেশ চাঁদে যায়, বাংলাদেশ কেন পিছিয়ে থাকব। আমরাও একদিন চাঁদে যাব।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দৃষ্টিনন্দন থার্ড টার্মিনালের সফট ওপেনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে নবনির্মিত এই টার্মিনালে প্রবেশ করেন তিনি। এ সময় তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান একদল শিশু শিল্পী। এরপর পুরো টার্মিনালটি ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন সরকারপ্রধান।

প্রাচীন যুগ থেকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও কক্সবাজার বিমানবন্দর হবে আন্তর্জাতিক এভিয়েশন হাব। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান হচ্ছে আন্তর্জাতিক এয়ার রুটের মাঝে। আমাদের দেশের বিমানবন্দর আরও আধুনিক এবং সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি হয় সেই পদক্ষেপ নিচ্ছি। বাংলাদেশের অনেক লোক প্রবাসে বসবাস করে, কাজ করে তারা রেমিট্যান্স পাঠায় এবং তারাও যাতায়াত করে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের এই দিকটা (এভিয়েশন) আরও উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। বাংলাদেশের আশপাশের দেশ চাঁদে চলে যায়, আমরা কেন পিছিয়ে থাকব। আমরাও একদিন চাঁদে যাব। ভবিষ্যতের জন্য সেভাবেই আমরা দক্ষ জনশক্তি ও স্মার্ট জনশক্তি গড়ে তুলব। আমরা চাই বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে আরও উন্নত হোক, এগিয়ে যাক।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের অ্যারোস্পেস উন্নত করার জন্য আরও গবেষণা করা দরকার। এজন্য লোকবল দরকার এবং এক্ষেত্রে আরও গবেষণাও দরকার। সেই বিষয় মাথায় রেখে বাংলাদেশের যারা মেধাবী শিক্ষার্থী আছে, তাদের উন্নত উপযুক্ত শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য লালমনিরহাটে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

বাংলাদেশকে সেভাবে উন্নত করা গেলে দেশটাকে প্রাচ্যের প্রাচুর্য হিসেবে গড়ে উঠবে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘সেই দিকটা লক্ষ্য রেখে কক্সবাজার বিমানবন্দরককে আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি অন্য বিমানবন্দরগুলোও আমরা উন্মুক্ত করছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এক জেলা থেকে যেন অন্য জেলা বিমান দিয়ে যাতায়াত করতে পারে। সেই পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি। ইতোমধ্যে সিলেট থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে যাওয়া যায়। অন্য বিমানবন্দরেগুলো দিয়েও যেন এভাবে যাতায়াত করা যায় সেই লক্ষ্য রেখে কাজ করা হচ্ছে। আন্তঃজেলা বিমান সংযোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমানসহ বেবিচক ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

(ঢাকাটাইমস/৭অক্টোবর/জেএ/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

স্মরণশক্তিকে মেধা বলার মানসিকতা পরিহার করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

‘জলবায়ু ঝুঁকি থেকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের সুরক্ষায় অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার’

মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা প্রণয়ন: সেতুমন্ত্রীকে রোড সেইফটি কোয়ালিশনের অভিনন্দন

বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জলবায়ু ঝুঁকি হতে সুরক্ষায় অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী

গাজায় ত্রাণ কনভয়ে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ

শ্রম আইন সংশোধনে তিন দিনের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে: আইনমন্ত্রী

অভিবাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নে মাইগ্রেশন কো-অর্ডিনেশন কমিটি হচ্ছে: প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড দেশের ওপর ঋণের বোঝা বাড়াচ্ছে: টিআইবি

৭ জুন শুরু হচ্ছে ‘জয় বাংলা ম্যারাথন’, রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন

ঢাকায় পৌঁছেছেন ডোনাল্ড লু

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :