দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও বাজারদর নিয়ন্ত্রণ: আইন প্রয়োগে কঠোর হওয়া জরুরি

শীতের দিনে সাধারণত শীতকালীন সবজি যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ওলকপিসহ নতুন আলু, পেঁয়াজ, শিম, মুলা, টমেটো, গাজরের দাম কম হয়ে থাকে। এবার তার ব্যতিক্রম। কোনোভাবেই এসব সবজির দাম কমছে না। বরং ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশীয় সবজি হলেও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কথা বলে এগুলোর দাম তেল ও গ্যাসের সাথে সমানতালে বাড়ছে। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধীদের দেওয়া হরতাল অবরোধ এবং সংসদ নির্বাচন পরবর্তী শৈত্যপ্রবাহ; সবকিছু মিলিয়ে নিত্যপণ্যের দামে অস্থিরতা— সরকার, অর্থনীতিবিদ ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা সবাইকে ভাবাচ্ছে। কীভাবে বাজারদর সাধারণ জনগণের নাগালের মধ্যে রাখা যায় সেসব বিষয় নিয়ে আজকের লেখা।
সামনে রমজান মাস আসছে। অল্পকয়েকদিন বাদেই মাহে রমজান শুরু হবে। এ মাসে কিছু পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। সেই সুযোগে রমজানে মুসলিম নামধারী ব্যবসায়ীগণ এবং দোকানদাররা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়। যদিও মুসলমানগণ রমজান মাস এলে সারা বছরের পাপ মোচন করবে বলে কোমর বেঁধে নামে। রমজানের প্রথমভাগে মসজিদে জায়গা পাওয়াতো বেশ কষ্টসাধ্য। আসন্ন পবিত্র রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পবিত্র রমজান ঘনিয়ে আসছে, তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। কারণ, এই মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ানো উচিত নয়।’
বাজার পর্যন্ত উৎপাদিত কৃষি ও ভোগ্যপণ্য নানাবিধ কারণে পৌঁছানো সম্ভবপর হয় না। সেই অজুহাতে ও রাজনৈতিক সংকটের কারণ দেখিয়ে রমজানে বেশি পরিমাণে ব্যবহার হয় এমন নিত্যপণ্যের দাম ব্যবসায়ীরা বাড়াতে পারে। তবে এই বাজার নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান কী কী আইন আমাদের দেশে আছে এবং কীভাবে প্রয়োগ করলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব তা বলার চেষ্টা করবো আজকের আলোচনায়।
দেশে যেকোনো গুজব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এসময় একশ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা আবার গুজব–সংশ্লিষ্ট পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। যেমন লবণের ক্ষেত্রে সম্প্রতি আমরা তা দেখেছি। পেঁয়াজের ঝাঁজের কথা তো আমরা সবাই জানি। এখন শুরু হয়েছে করোনাভাইরাস ও রমজান মাস এলে বরাবরের ন্যায় নিত্য পণ্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা। এই মূল্যবৃদ্ধি ও মজুতদারি ঠেকাতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় এবং বিদ্যমান আইন ভোক্তা সংরক্ষণ আইন ও স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট কী বলে, তা জেনে নেওয়া যাক।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এ বলা হয়েছে, ‘ভেজাল’ অর্থ পিউর ফুড অর্ডিন্যান্স, ১৯৫৯–এর ধারা ৩(১) এ সংজ্ঞায়িত Adulteration এবং স্পেশাল পাওয়ারস অ্যাক্ট, ১৯৭৪–এর ধারা ২৫সি বা অন্য কোনো আইনে উল্লিখিত Adulteration বা ভেজাল। ‘ভোক্তা’ বলতে সাধারণ অর্থে আমরা যেকোনো পণ্যের ক্রেতা বা গ্রহীতাকে বুঝি। কিন্তু ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯–এ ভোক্তাকে সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের যেসব কাজ ভোক্তা অধিকারবিরোধী কাজ হিসেবে গণ্য হবে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এ সেসব কাজের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।
আইনটিতে বলা হয়েছে, ভোক্তা অধিকারবিরোধী কার্য অর্থ—
ক. কোনো আইন বা বিধির অধীন নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে কোনো পণ্য, ওষুধ বা সেবা বিক্রি করা বা করতে প্রস্তাব করা;
খ. জ্ঞাতসারে ভেজাল মিশ্রিত পণ্য বা ওষুধ বিক্রি করা বা করতে প্রস্তাব করা;
গ. মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিকারক কোনো দ্রব্য, কোনো খাদ্যপণ্যের সঙ্গে যার মিশ্রণ কোনো আইন বা বিধির অধীন নিষিদ্ধ করা হয়েছে, উক্তরূপ দ্রব্যমিশ্রিত কোনো পণ্য বিক্রি করা বা করতে প্রস্তাব করা;
ঘ. কোনো পণ্য বা সেবা বিক্রির উদ্দেশ্যে অসত্য বা মিথ্যা বিজ্ঞাপনে ক্রেতাসাধারণকে প্রতারিত করা;
ঙ. প্রদত্ত মূল্যের বিনিময়ে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রি বা সরবরাহ না করা;
চ. কোনো পণ্য সরবরাহ বা বিক্রির সময় ভোক্তাকে প্রতিশ্রুত ওজন অপেক্ষা কম ওজনের পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করা;
ছ. কোনো বিক্রি বা সরবরাহের উদ্দেশ্যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ওজন পরিমাপের কার্যে ব্যবহৃত বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্র প্রকৃত ওজন অপেক্ষা অতিরিক্ত ওজন প্রদর্শনকারী হওয়া;
জ. কোনো পণ্য বিক্রি বা সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুত পরিমাপ অপেক্ষা কম পরিমাপের পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করা;
ঝ. কোনো পণ্য বিক্রি বা সরবরাহের উদ্দেশ্যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে দৈর্ঘ্য পরিমাপের কার্যে ব্যবহৃত পরিমাপক ফিতা বা অন্য কিছু প্রকৃত দৈর্ঘ্য অপেক্ষা অধিক দৈর্ঘ্য প্রদর্শনকারী হওয়া;
ঞ. কোনো নকল পণ্য বা ওষুধ প্রস্তুত বা উৎপাদন করা;
ট. মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করা বা করতে প্রস্তাব করা;
ঠ. সেবাগ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্ন হতে পারে এমন কোনো কার্য করা, যা কোনো আইন বা বিধির অধীন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এ যে কার্যকলাপকে অপরাধ বলা হয়েছে তা হলো—
ক. আইন ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত হওয়া সত্ত্বেও পণ্যে মোড়ক ব্যবহার না করা;
খ. মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করা;
গ. সেবার মূল্যের তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা; ধার্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য, ওষুধ বা সেবা বিক্রি করা;
ঘ. ভেজাল পণ্য বা ওষুধ বিক্রি করা;
ঙ. খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্য মিশ্রণ করা;
চ. মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাসাধারণকে প্রতারিত করা;
ছ. প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রি বা সরবরাহ না করা;
জ. ওজনে কারচুপি করা;
ঝ. বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রে প্রকৃত ওজন অপেক্ষা অতিরিক্ত ওজন প্রদর্শন করা;
ঞ. পরিমাপে কারচুপি করা;
ট. দৈর্ঘ্য পরিমাপক কার্যে ব্যবহৃত পরিমাপক ফিতা বা অন্য কিছুতে কারচুপি করা;
ঠ. পণ্যের নব প্রস্তুত বা উৎপাদন করা;
ড. মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো পণ্য বা ওষুধ বিক্রি করা;
ঢ. সেবাগ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য করা এবং
ণ. অবহেলা, দায়িত্বহীনতা বা অসতর্কতা দিয়ে সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য বা জীবনহানি ঘটানো;
মামলা ও বিচার হবে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৯৮ অনুযায়ী, আইনে যা-ই থাকুক না কেন, সরকার বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক এ আইনের অধীনে লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনের অধীন কোনো অপরাধ বিচারার্থে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত আমলে নিতে পারবেন।
ক্ষতিপূরণের বিষয়ে আইনে বলা হয়েছে—জরিমানা ও শাস্তির বিধান আরও সুনির্দিষ্ট যেমন জীবননাশক বা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোনো রাসায়নিক বা ভারী ধাতু বা বিষাক্ত দ্রব্যমিশ্রিত কোনো খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, আমদানি, প্রস্তুত, মজুত, বিতরণ, বিক্রয় বা বিক্রয়ের অপচেষ্টা করলে অনূর্ধ্ব সাত বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হবে। পুনরায় একই অপরাধ করলে সাত বছর থেকে অনূর্ধ্ব ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা অনূন্য ১০ লাখ টাকা জরিমানা।
এছাড়া দূষণমিশ্রিত কোনো খাবার বিক্রি করলে; শর্ত ভঙ্গ করে কোনো খাদ্যদ্রব্য মজুত বা প্রস্তুত করলে; অনুমোদিত ট্রেডমার্ক বা ট্রেডনামে বাজারজাত করা কোনো খাদ্যপণ্য নকল করে বিক্রির চেষ্টা করলে; খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন বা সংরক্ষণের স্থানে শিল্পকারখানার তেল বা খনিজ বা বর্জ্য থাকার অনুমোদন দেওয়াসহ এমন ২০ ধরনের অপরাধের জন্য অনূর্ধ্ব সাত বছর থেকে কমপক্ষে দুই বছর শাস্তি এবং অনধিক ১০ লাখ টাকা অথবা কমপক্ষে তিন লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। একই অপরাধ পুনরায় করলে শাস্তি ও জরিমানার পরিমাণ আরও বাড়ানোর বিধান রাখা হয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯; মিলিয়ে পড়লে ওই আইনে যেসব কাজ করার বিষয়ে বিধিনিষেধ অথবা যেসব কাজ অপরাধ গণ্য করা হয়েছে, তা সব নাগরিককে জানতে হবে। কেননা ওই বিধিনিষেধ ব্যত্যয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা অধিদপ্তরকে ভেজাল পণ্য বাজেয়াপ্ত ও আটকের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট ১৯৭৪ এর ২৫ এবং ২৭ ও ২৮ ধারার বিধান প্রয়োগ করেও অবৈধ মজুতদার ও মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। অন্যায় ও অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে মূলত বিশেষ ক্ষমতা আইনটি করা হয়েছিল। একটু প্রয়োগ করলেই হয় অথচ এ আইনটি বেশির ভাগ ব্যবহার হয় ইন্ডিয়া হতে কে চকলেট আনল, কে রেলের টিকিট বিক্রি করল, কালোবাজারিতে তার বিরুদ্ধে; যেটি এই আইনের মুখ্য বিষয় নয়।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দানবীয় রূপলাভ করেছে। রমজান মাসও আগত। যুদ্ধ-বিগ্রহে মানুষের কাজ করার স্বাভাবিক গতি প্রকৃতি থমকে গেছে। কর্মজীবী মানুষ কর্মহীন। গরিব, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের মানসিক ও আর্থিক টানাপোড়েন, চিকিৎসা সংকট, তীব্র খাদ্য সংকট নানাবিধ সমস্যা বিরাজমান। এর মধ্যে গরিবের ত্রাণ আত্নসাৎ ও চাল চুরি কোনোভাবেই থামছে না। কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য কৃষক পাচ্ছে না। কৃষি অর্থনীতি বিপর্যস্ত। চারিদিকে হাহাকার চলছে কীভাবে উত্তরণ ঘটবে মানুষের। কোনো গবেষণাই কাজে লাগছে না। সামনে রমজান মাস। এই মাসে মানুষ ইবাদত বেশি বেশি করে। কিন্তু জিনিষপত্রের দাম যেভাবে বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে সবাই আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন।
যুদ্ধের সময় তেল-গ্যাসের দাম বেড়ে যায় এমনিতেই। সেটা যদি আরও বাড়ে তাহলে তা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হবে। রমজানে মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে তাই ভেজাল পণ্য ও মূল্যবৃদ্ধি কার্যক্রমের সঙ্গে সুযোগসন্ধানী জড়িত ব্যক্তিদের আটক এবং মোবাইল কোর্ট অথবা উপযুক্ত আদালতে বিচারকার্য সম্পন্নের ক্ষমতা প্রয়োগ করা যেতে পারে। নিরাপদ খাদ্য ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী রমজানের সময়, বিশেষ করে বড় মজুতদারেরা যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির জন্য জরুরি পণ্য মজুত করতে না পারেন, এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রীদের নিয়মিত মজুতবিরোধী অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখুন, যাতে সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালেয়ের সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের মতো নবনিযুক্ত মন্ত্রীদের প্রথমে তাদের মন্ত্রণালয়ের সার্বিক বিষয়ে তথ্য জানার জন্য নির্দেশ দেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের জন্য কল্যাণকর যেকোনো প্রকল্প গ্রহণের সময় মন্ত্রীদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন।
কবির ভাষায় পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তুলতে হবে। জনগণ সচেতন হলে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত আরও দৃঢ় ও মজবুত হবে। হাজার বছর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নাই নিশ্চিত জেনে নৈতিকতা ও নীতিবোধ সম্পন্ন মানুষ হতে হবে। ব্যবসায়ীদেরকে পণ্যের মূল্য সহনশীল রেখে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।
লেখক: আইন বিশ্লেষক ও কলামিস্ট। ইমেইল: [email protected].
(ঢাকাটাইমস/১৩জানুয়ারি/এসআইএস)

মন্তব্য করুন