মিডিয়া ট্রায়াল এবং মব জাস্টিসের অশনি সংকেত

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কালে মব জাস্টিস ও মিডিয়া ট্রায়াল দুটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত বিষয়। মিডিয়া ট্রায়াল বলতে বোঝায়, কোনো অপরাধ বা ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া আদালতে শেষ হওয়ার আগেই গণমাধ্যমে তা নিয়ে এমনভাবে প্রচার করা, যা জনমত ও আদালতের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এটি ন্যায়বিচার ও আইনি প্রক্রিয়ার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। অপরদিকে ‘মব জাস্টিস’ (Mob Justice) বলতে বোঝানো হয় যখন সাধারণ জনগণের একটি দল বা জনতা আইন ও বিচার ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে নিজেরাই অপরাধীর শাস্তি নির্ধারণ করে এবং তা প্রয়োগ করে। এটি সাধারণত কোনো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর মুহূর্তের উত্তেজনায় ঘটে, যেখানে লোকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ধরে পিটিয়ে মারে বা অন্যভাবে শাস্তি দেয়—বিনা প্রমাণ বা বিচার ছাড়াই। মোটকথা, মব জাস্টিস একটি বিপজ্জনক ও অবৈধ আচরণ যা সমাজে বিশৃঙ্খলা ও অন্যায় বাড়ায়। এর পরিবর্তে আইনের মাধ্যমে সঠিক বিচার হওয়াই উচিত।
সাধারণত যে সকল কাজকে মিডিয়া ট্রায়ালের অংশ হিসেবে ধরা হয় তা হলো- আসামিকে দোষী প্রমাণ করার আগেই গণমাধ্যমে তাকে দোষী হিসেবে উপস্থাপন করা। বিচারাধীন মামলার তথ্য ফাঁস করা বা বিতর্ক সৃষ্টি করা। জনমত গঠনের চেষ্টা, যা বিচারকের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া ও টকশোতে বিচারিক মন্তব্য।
বাংলাদেশে বিগত এক দশকে অনেক হাই-প্রোফাইল মামলায় মিডিয়া ট্রায়ালের প্রবণতা বেড়েছে। যেমন: রাজনৈতিক নেতাদের মামলা: মিডিয়াতে অতিরঞ্জিত রিপোর্টিং দেখা যায়। ধর্ষণ বা নারী নির্যাতন মামলায়: অভিযুক্তকে আদালতের রায় ছাড়াই ‘দোষী’ বলে প্রচার করা হয়। সেলিব্রিটি মামলা: সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার হয়ে যায়।
এখানে বাংলাদেশের কিছু আলোচিত মিডিয়া ট্রায়ালের উদাহরণ দেওয়া হলো:
১৯৯০-এর দশকে কৃষক নেতা তাজুল ইসলাম হত্যা মামলার কথা অনেকেরই হয়তো এখন মনে নাই। কিন্তু তাজুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের পরপরই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সিপিবি এবং কৃষক সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও পরে তদন্তে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসে, তবুও শুরুতে মিডিয়ার কিছু অংশের প্রচারণা জনমত প্রভাবিত করে। ২০১২ সালের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার তদন্ত কাজ এখনো চলমান। সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার পরপরই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে একাধিক ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। পুলিশি তদন্ত চলাকালীনই মিডিয়াতে নানা গুজব ও অনুমান ছড়িয়ে পড়ে, যা অনেকের ব্যক্তিগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। ২০১৭ সালে তিস্তা সেতু ধর্ষণ মামলা ও রেইনট্রি হোটেল ধর্ষণ মামলার বিচার নিয়ে মিডিয়া ট্রায়ালের কথা স্মরণে আছে কি? এই মামলাগুলোতে অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হওয়ার আগে এবং পরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তাদের নাম, ছবি, এবং ‘অপরাধী’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। মামলার বিচার শেষ হওয়ার আগেই গণমাধ্যমে তাদের নিয়ে নেতিবাচক প্রচার শুরু হয়।
২০১৯ সালে প্রিয়া সাহার অভিযোগ ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া মিডিয়া ট্রায়ালের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। প্রিয়া সাহা আমেরিকায় গিয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ করার পর দেশে ফিরলে মিডিয়ায় তাকে ‘দেশদ্রোহী’ বলেও আখ্যায়িত করা হয়, যদিও তখনো রাষ্ট্রীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক মামলা হয়নি। মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে প্রচার এক ধরনের মিডিয়া ট্রায়াল হিসেবেই দেখা হয়।
২০২১ সালে পরীমনি মাদক মামলা মিডিয়া ট্রায়ালে অন্যতম উদাহরণ। চিত্রনায়িকা পরীমনিকে গ্রেপ্তারের পর তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার শুরু হয়। আদালতে দোষ প্রমাণ হওয়ার আগেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তাকে অপরাধী রূপে চিত্রিত করা হয়। এটি একাধিক মানবাধিকার সংগঠন এবং সাংবাদিক সংগঠন দ্বারা ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ হিসেবে সমালোচিত হয়।
বাংলাদেশের সংবিধানের 35(3) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রতিটি নাগরিক ন্যায়বিচারের অধিকার রাখে। বিচারাধীন বিষয়ে মিডিয়ায় মন্তব্য করা Contempt of Court (আদালত অবমাননা) এর আওতায় পড়তে পারে। প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীতিমালা অনুযায়ী গোপনীয়তা রক্ষা করা উচিত।
মিডিয়া ট্রায়ালের ফলে যে সমস্যাগুলো দেখা যায় তা হলো- ন্যায়বিচারের বিঘ্ন ঘটে। আসামির সামাজিক জীবন নষ্ট হয়, রায়ে দোষমুক্ত হলেও। বিচার ব্যবস্থার ওপর জনআস্থা কমে যায়।
মিডিয়া ট্রায়াল প্রতিরোধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে-গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সংবাদ প্রচারে সতর্কতা ও ভারসাম্য রক্ষা করা জরুরি। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে গোপনীয়তা বজায় রাখা উচিত। সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ ও মিডিয়া নীতিমালা হালনাগাদ করা দরকার।
মব জাস্টিসের মধ্যে যে কাজ পড়ে তা হচ্ছে- আইনগত প্রক্রিয়া উপেক্ষা করে। জনতার হাতে বিচার ও শাস্তি। সন্দেহের ভিত্তিতে শাস্তি—অনেক সময় নির্দোষ মানুষও ভুক্তভোগী হন। প্রচণ্ড সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
যেসব কারণে মব জাস্টিস বিপজ্জনক তাহলো- আইনের শাসন নষ্ট হয়। নির্দোষ ব্যক্তি শিকার হতে পারে। সামাজিক অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা বাড়ে। মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়।
মব জাস্টিস রোধকল্পে বিকল্প ও সমাধানগুলো- অপরাধ ঘটলে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো। আইনের প্রতি আস্থা রাখা। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে মব জাস্টিস বা গণপিটুনির ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ঘটনাগুলো আইন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনসাধারণের আস্থাহীনতা, সামাজিক উত্তেজনা এবং প্রশাসনিক দুর্বলতার প্রতিফলন। নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনার বিষয় উল্লেখ করা হলো:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি তোফাজ্জলকে হত্যার ঘটনা সবাইকে কাঁদিয়েছে। ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হোসেন নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার মামাতো বোন বারবার জানালেও, শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে মারধর চালায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যুর কথা কেউ এখনো ভুলেনি। একই দিনে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম আহমেদকে মারধর করা হয়, যা পরবর্তীতে তার মৃত্যুর কারণ হয়। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মসজিদের মাইকে ডাকাত এসেছে ঘোষণা দেওয়ার পর দুই ব্যক্তিকে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়। জামায়াতে ইসলামীর দাবি, নিহতরা তাদের কর্মী ছিলেন এবং পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে শরীয়তপুর ও মাদারীপুরে ডাকাত সন্দেহে স্থানীয় জনতা ৫ জনকে পিটিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনাগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে । সূত্র: BD TodayTBS News। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনা সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্বেগের কারণ হয়। সূত্র: www.comillarkagoj.com+2Daily Sokaler Somoy+2BD Today+2।
এই ঘটনাগুলো থেকে স্পষ্ট যে, বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থাহীনতা, সামাজিক উত্তেজনা এবং প্রশাসনিক দুর্বলতা মব জাস্টিসের মূল কারণ। এই প্রবণতা রোধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি। সূত্র: www.comillarkagoj.com+Jugantor+1
আইন বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্টদের মতে মব জাস্টিস বৃদ্ধির যেসব প্রধান কারণ চিহ্নিত তা হলো- আইনের শাসনের দুর্বলতা ও বিচারহীনতার নানা দিক রয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর দুর্বলতা এবং বিচার বিভাগের ধীরগতি ও অকার্যকারিতা জনগণের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করছে। ফলে, অনেকেই মনে করেন যে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যথাযথভাবে হচ্ছে না, যা মব জাস্টিসের প্রবণতা বাড়াচ্ছে। সূত্র: দৈনিক ভোরের আকাশ। গুজব ও ভুল তথ্যের প্রসার মব জাস্টিসের অন্যতম কারণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও ভুল তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, যা জনসাধারণকে উত্তেজিত করে তুলছে এবং মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটাতে প্ররোচিত করছে। সূত্র: দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন। সামাজিক ও রাজনৈতিক উত্তেজনা নানা কারণে হয়। তার মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সামাজিক বৈষম্য মব জাস্টিসের ঘটনা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। জনগণ যখন দেখে যে রাজনৈতিক কারণে অপরাধীরা শাস্তি পাচ্ছে না, তখন তারা নিজেরাই বিচার করতে উদ্যোগী হয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি অনাস্থা মব জাস্টিসের জন্য দায়ী। পুলিশ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি জনগণের আস্থা হ্রাস পেয়েছে, যা মব জাস্টিসের প্রবণতা বাড়িয়েছে। সূত্র: দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন। সামাজিক ও ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকাও কোনো অংশে কম নয়। সমাজে সম্মানিত ব্যক্তি, ধর্মীয় নেতা এবং সমাজসেবীরা মব জাস্টিস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। তারা শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণকে মব জাস্টিসের বিষয়ে নিরুৎসাহিত করতে পারেন। সূত্র: দৈনিক সংবাদ প্রকাশ।
মব জাস্টিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে মোটাদাগে যেসব সুপারিশ করা যেতে পারে- বিচার ব্যবস্থার সংস্কার মুখে নয় বাস্তবে রূপ দিতে হবে। বিচার বিভাগকে স্বাধীন ও দক্ষ করে তুলতে হবে এবং ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সূত্র: দৈনিক সংবাদ প্রকাশ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ জরুরি। পুলিশ বাহিনীকে শক্তিশালী ও দক্ষ করে অপরাধীদের দ্রুত আটকানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সূত্র: দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি অতীব জরুরি। জনসাধারণের মধ্যে আইনি সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নৈতিক শিক্ষার প্রচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে মানুষ বুঝতে পারে যে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া অনৈতিক। গুজব প্রতিরোধে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। উন্নত প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে মব জাস্টিসের মতো ঘটনাকে আটকে দেওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে গুজবের বিষয়ে কিংবা কোনো পরিস্থিতির সঠিক তথ্য দিয়ে কিংবা মব জাস্টিসের ঘটনা দ্রুত রিপোর্ট করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। সরকারের কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। সরকার মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং যেকোনো ধরনের মব জাস্টিসের ঘটনায় জিরো টলারেন্স নীতির কথা ঘোষণা করেছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।
ইদানিংকালে বাংলাদেশে মব জাস্টিস বা গণপিটুনির ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পেছনে একাধিক সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কারণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রবণতা সমাজে আইনের শাসনের দুর্বলতা, বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনসাধারণের আস্থার অভাব এবং সামাজিক উত্তেজনার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। শুধু মব জাস্টিস নয় সমান্তরালে মিডিয়া ট্রায়াল সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা ও অবিচার সৃষ্টি করে। এটি প্রতিরোধে রাষ্ট্র, সমাজ ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
লেখক: মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম, পিএইচডি ফেলো, কলামিস্ট ও আইন গবেষক।

মন্তব্য করুন