আশুলিয়ায় গার্মেন্টসকর্মী মেজবাহুল হত্যাকাণ্ড, গ্রেপ্তার ৩

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৫ আগস্ট ২০২৪, ২২:৩৬
অ- অ+

সাভারের আশুলিয়ায় গার্মেন্টসকর্মী মেজবাহুল (১৭) হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত ইয়াসিনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-৪)।

রবিবার (২৫ আগস্ট) বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব তথ্য জানান, র‍্যাব-৪ এর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. সাজ্জাদুর রহমান।

এর আগে শনিবার (২৪ আগস্ট) আশুলিয়ার বাইপাইলের নামাবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

নিহত মেজবাহুল (১৭) গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার স্থায়ী বাসিন্দা। সে আশুলিয়ার বটতলা এলাকার একটি গার্মেন্টসে আসামিদের সঙ্গে প্রিন্টিং ও সুতার কাজ করতো।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-জয়পুরহাট জেলা সদরের ভানাই কুশলিয়া গ্রামের মো. সেলিম হোসেনের ছেলে মো. ইয়াসিন আরাফাত (২২), বরগুনা জেলার বেতাগি থানার ২০নং খান্তাখাটা লক্ষ্মীপুর গ্রামের সাত্তার আকনের ছেলে তামিম আকন (১৮) ও ফরিদপুর জেলার সালথা থানার বরখারদিয়া গ্রামের বাচ্চু মুন্সির ছেলে আল আমিন ইসলাম ওরফে মুন্না মুন্সি শিহাব।

এছাড়াও গত ১৯ আগস্ট এই ঘটনায় রবিউল (১৮) নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, গত ৩১ জুলাই সকালে আশুলিয়া থানার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাড়ইপাড়া এলাকার কাঠ বাগানের ভেতর থেকে একটি অজ্ঞাতনামা গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ছায়াতদন্ত করে র‍্যাব-৪। এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-৪ এর একটি দল শনিবার আশুলিয়ার বাইপাইল নামাবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকারী তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ৩০ জুলাই বিকালে গ্রেপ্তার আসামিরা মেজবাহুলকে (১৭) নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সে বাসায় ফিরে না আসলে মেজবাহুলের ফোনে ফোন করে তার বাবা। এ সময় গ্রেপ্তারকৃতরা মুক্তিপণ হিসেবে নগদ ২৪ হাজার টাকা দাবি করে ফোনটি বন্ধ করে দেয়। মেজবাহুলকে না পেয়ে তার বাবা আসামি রবিউলের বাসায় গিয়ে সন্তানের খোঁজ জানতে চাইলে সে কৌশলে এড়িয়ে যায়। পরবর্তীতে গত ১৯ আগস্ট মেজবাহুলকে গলা কেটে হত্যার পর মরদেহ বাড়ই পাড়ার কাঠ বাগানের ভেতর ফেলে দেয় বলে জানতে পারে পরিবার।

পরে ভিকটিমের পরিবার আশুলিয়া থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ জানায় গত ৩১ জুলাই উল্লিখিত স্থান থেকে অজ্ঞাতনামা গলাকাটা মরদেহ পাওয়া গেলে টাঙ্গাইলের এক ব্যক্তি ছেলের মরদেহ দাবি করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে টাঙ্গাইলের সেই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।

র‍্যাব-৪ এর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তারা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা এবং চাকরির সুবাদে তাদের বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। আসামিরা ওই এলাকায় বসবাসরত ভিকটিম মেজবাহুলকে হত্যার ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী আসামিরা গত ৩০ জুলাই বিকালে মেজবাহুলকে বেড়ানোর কথা বলে নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তার ফোন থেকে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না পাওয়ায় তারা মেজবাহুলকে ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।

(ঢাকাটাইমস/২৫আগস্ট/পিএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত
শরীয়তপুরের বিতর্কিত ডিসি আশরাফ ওএসডি হচ্ছেন
শালিক পাখির প্রেম
কাঁচামরিচের কেজি ১০ টাকা! হতাশ চাষিরা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা