ডিআরইউতে সংবাদ সম্মেলন

জমি দখল নিতে এনআইডি বাতিলের চক্রান্তের অভিযোগ দুই সহোদরের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৭ জুন ২০২৫, ১৩:৩১
অ- অ+

জমি দখল নিতে বাবাকে করা হয় হত্যা। এরপর হুমকির মুখে পরিবার নিয়ে গ্রাম ছাড়ে দুই সন্তান। জমি দখলে রাখতে দুই সন্তানের জাতীয় নাগরিক পরিচয়পত্র বাতিলের চক্রান্ত শুরু করেছে ভূমিদস্যু চক্রটি। প্রাণনাশের ভয়ে ভুক্তভোগীরা এখনো নিজ গ্রামে ফিরতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী দুই সহদোর ভাই।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি ডিআরইউতে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ জানান পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার খারিজা ভাজনী গ্রামের ভবেন্দ্রনাথ রায় প্রধান ও বজেন্দ্রনাথ রায় প্রধান নামের দুই সহোদর।

লিখিত সংবাদ সম্মেলনে বজেন্দ্রনাথ রায় প্রধান জানান, তারা তিন ভাই ও এক বোন মিলে জন্মেছেন পঞ্চগড় জেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের খারিজা ভাজনী গ্রামে। তাদের বাবা জলধর রায় প্রধান ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে তিনবার দায়িত্ব পালন করেছেন। পরিবারটি দীর্ঘকাল ধরে ওই এলাকায় বসবাস করে আসছে এবং স্থানীয় শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ জনকল্যাণে জমি দান করেছেন।

বজেন্দ্রনাথ বলেন, আমরা পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে ২ দশমিক ৮৮ একর জমির ওপর ১৯৮১ সালে গাজুকাটি তফসিলি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করি এবং আমি নিজেই দলিল করে তা বিদ্যালয়ের নামে দান করি। এছাড়া গাজুকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দির ও বাজার প্রতিষ্ঠার জন্যও আমাদের পরিবার জমি দিয়েছে। তবে এসব জনহিতকর কাজে ভূমিদস্যুদের রোষানলে পড়েন তারা।

লিখিত অভিযোগে বলেন, ১৯৭২ সালে আমার বাবা জলধর রায় প্রধানকে সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করে পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে। ভবেন্দ্রনাথ জানান, হত্যার পেছনে ফিরোজ শেখ, চাঁন মিয়া, আনোয়ার হোসেন হরমুজ, আমির আলী গার্ড ও ময়েজ উদ্দিনসহ কয়েকজন স্থানীয় ভূমিদস্যু জড়িত ছিলেন।

তিনি বলেন, বাবার হত্যার পর আমরা প্রাণভয়ে এলাকা ছাড়ি। পরে ফিরে আসলেও হত্যাকারীদের সন্তানেরা আমাদের হুমকি দিয়ে যায়। এমনকি তারা আমাদের মৃত দেখিয়ে ভুয়া দলিল তৈরি করে সম্পত্তি আত্মসাৎ করে।

তাদের অভিযোগ, স্থানীয় এক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিগত ফাসিস্ট আওয়ামী সরকারের ১৫ বছর তাদের নাগরিক সনদ ও জন্মনিবন্ধন প্রদান না করে ভূমিদস্যুদের পক্ষ নিয়েছেন। পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী মাড়েয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিষয়টি অনুধাবন করে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নাগরিক সনদ প্রদান করেন। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার পর ভূমিদস্যু স্থানীয় সন্ত্রাসী মোহাম্মদ নাজমুল হোসাইন চৌধুরী বাপ্পি ও তার সহযোগীরা কিছু গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে। সকল দলিল ও প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তা সঠিকভাবে যাচাই-বাচাই ছাড়া অসাধু চক্রের মাধ্যমে এনআইডি প্রাথমিকভাবে স্থগিত করে।

বজেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আমরা গত ২৫ জুন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেছি যাতে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমাদের পরিচয়পত্র পুনরায় সচল করা হয়। আমরা চাই আমাদের মৌলিক অধিকার—ভোটাধিকার ও বসবাসের অধিকার—ফিরিয়ে দেওয়া দাবি জানাচ্ছি। এবং আমার বাবা হত্যার সঠিক বিচার চাই।

(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/এলএম/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সরকার-প্রশাসনের নিরপেক্ষতা যাচাইয়ে আগে সিটি-পৌর নির্বাচন চান নুর
প্রধান উপদেষ্টা-সিইসি বৈঠকের আলোচিত বিষয় স্পষ্ট করার আহ্বান সালাহউদ্দিনের
৬ মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে আইন মন্ত্রণালয়
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু শনিবার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা