খামেনিকে হত্যাচেষ্টার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার জন্য ইসরায়েলের পরিকল্পনার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। তিনি বলেছেন খামেনিকে হত্যার জন্য তাকে ব্যাপকভাবে খুঁজেছে ইসরায়েলি গোয়েন্দারা। তবে তার ওপর আক্রমণ চালানোর সুযোগ পাওয়া যায়নি। খবর আল-জাজিরার।
শুক্রবার (২৭ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাটজ বলেন, যদি সম্ভব হতো তাহলে সেনাবাহিনী তেহরানের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাতে খামেনিকে হত্যা করতো।
সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়- খামেনিকে হত্যার জন্য এমন একটি হামলা চালাতে কি যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতির প্রয়োজন ছিল?
জবাবে কাটজ বলেন, ‘এসব ক্ষেত্রে আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতির প্রয়োজন হয় না।’
এদিকে ইরানি কর্তৃপক্ষ জানায়, যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েল খামেনিকে হত্যার চেষ্টা চালাচ্ছে।
টানা ১২ দিন সংঘাতের পর ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পর ইরানিরা যখন বিজয় উদযাপন করছিল, তখন জনসমক্ষে উপস্থিতি কিংবা কোনো বক্তব্য দেখা যায়নি ইরানি সর্বোচ্চ নেতার। এ নিয়ে নানা জল্পনা ও কৌতূহল ছিল নানা মহলে। কেননা যুদ্ধের মাঝে তিনি তার উত্তরসূরি হিসেবে তিনজনের নাম জানান বলে খবর এসেছিল মিডিয়ায়।
তবে যুদ্ধবিরতির দুই দিন পর গতকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন খামেনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্ট দেন।
তাতে খামেনি ইরানকে বীরের জাতি হিসেবে বর্ণনা করে আগ্রাসনকারীদের হুঁশিয়ার করেন, ভবিষ্যতেও কেউ কোনো আগ্রাসন চালালে বড় মূল্য দিতে হবে তাদের।
ইরানি সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ট্রাম্প তার দেশকে ‘আত্মসমর্পণ’ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ইরানের মতো একটি মহান দেশ ও জাতির জন্য আত্মসমর্পণের কথা বলাই অপমান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মুখের তুলনায় খুব বড় বক্তব্য ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এই যুদ্ধে ইরানের জনগণের ঐক্যের কথা উল্লেখ করে খামেনি বলেন, ইরানের জনগণই দেশটির কণ্ঠস্বর।
এর আগে এক্সে এক পোস্টে খামেনি ইরানের জনগণকে অভিনন্দন জানান।
(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/মোআ)

মন্তব্য করুন