গণহত্যার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো আনিসুল হকসহ ১৩ জনকে
জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ১৩ জনকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার তদন্ত সংস্থার আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এদিন সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের ১০ মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিবসহ ১৩ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। একটি মামলায় রিমান্ডে থাকায় আব্দুর রাজ্জাককে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।
যাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তারা হলেন—সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, গোলাম দস্তগীর গাজী, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, কামাল আহমেদ মজুমদার, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান, সাবেক বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
এর আগে ২৭ অক্টোবর গণহত্যার মামলায় এই আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার আদেশ দিয়েছিলেন।
ওইদিন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার সব মামলার বাদী হবেন চিফ প্রসিকিউটর। আমাদের কাছে জনগণ বা ভিকটিম পরিবার যেসব অভিযোগ নিয়ে আসে, এগুলো শুধু তথ্য। এ তথ্যগুলোকে তদন্ত সংস্থা গ্রহণ করে, পরে পর্যালোচনা করে একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়। সেই রিপোর্ট চিফ প্রসিকিউটরের কাছে দেওয়া হলে চিফ প্রসিকিউটর কোর্টের কাছে আবেদন করেন অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট ইস্যুর জন্য। আজ পর্যন্ত তিনটি মিসকেস করা হয়েছে। প্রথম মিসকেসের মধ্যে শেখ হাসিনা এবং দ্বিতীয় মিসকেসে ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের এবং তৃতীয় মিসকেসে পুলিশ সদস্যদের আওতায় নেওয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/এফএ)
মন্তব্য করুন