কারবালার শাহাদাত থেকে সত্য ও মানবতার শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান আল্লামা ইমাম হায়াতের

পবিত্র মহররম মাসের দশম দিনে শাহাদাতে কারবালা দিবসকে “মুসলিম মিল্লাতের মহান ঈমানী জাতীয় শহীদ দিবস” হিসেবে স্মরণ করে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট ও ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলুশন, বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর শাখা।
রবিবার আয়োজিত সমাবেশে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা ইমাম হায়াত বলেন, “প্রাণপ্রিয় ইমামে আকবর ইমাম হুসাইন রাদিআল্লাহু আনহুর অতুলনীয় মহান শাহাদাতের মধ্যেই নিহিত রয়েছে সত্য ও জীবনের মর্মধারা। এই শাহাদাতই সব জিহাদ ও শহীদের চেতনার সমন্বিত পূর্ণতা।”
তিনি বলেন, আহলে রাসুলের প্রতি ভালোবাসা ও সম্পর্কই ঈমানের প্রকৃত মানদন্ড। তাদের বিরোধিতা বা বিচ্ছিন্নতা আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লামের বিরোধিতার শামিল।
আল্লামা ইমাম হায়াত বলেন, “কারবালায় ইমাম হুসাইন রাদিআল্লাহু আনহুর শাহাদাত বস্তুবাদি কুফরি চেতনার বিরুদ্ধে সত্যের কণ্ঠস্বর। এই শাহাদাত তাওহীদ ও রেসালাত ভিত্তিক ঈমানি সত্তা এবং মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।”
তিনি বলেন, “ইসলামের মূল ধারা ও মানবতার বিশাল সাম্রাজ্যকে জবরদখলকারী মুনাফিকি চক্র মোয়াবিয়া-এজিদের গ্রাস থেকে রক্ষার জন্যই এই মহান শাহাদাত সংঘটিত হয়। এ শাহাদাত স্বৈরাচারী উমাইয়া গোত্রবাদি দস্যু শাসন মুলুকিয়ত ভেঙে সর্বজনীন মানবতার রাষ্ট্রব্যবস্থা ও খেলাফতে ইনসানিয়াতের দিশা দেয়।”
আল্লামা ইমাম হায়াত আরও বলেন, “যা কিছু রক্ষা এবং যা কিছু থেকে মুক্তির জন্য এ শাহাদাত, সে দায়িত্ব পালন করাই ঈমানি কর্তব্য। শাহাদাতের দিশা হারিয়ে ফেললে ঈমান, দ্বীন ও মানবিক অধিকারও হারিয়ে যাবে।”
তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “বাতিল শিয়াবাদের বিকৃতি ও মোয়াবিয়া-এজিদপন্থী খারেজিদের প্রতারণা থেকে মুসলমানদের সতর্ক থাকতে হবে। নিছক আনুষ্ঠানিকতা নয়, এ শাহাদাতের প্রকৃত শিক্ষা বাস্তবায়নেই দিবস পালনের সার্থকতা।”
সমাবেশে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। বক্তারা কারবালার আত্মত্যাগ ও শিক্ষাকে জীবনের আদর্শ হিসেবে ধারণ করে সত্য, ন্যায় ও মানবতার পথে চলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য করুন