মনোহরদীতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা গণধোলাইয়ের শিকার

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের আসাদনগর এলাকায় সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে স্থানীয় জনতার হাতে গণধোলাই ও জুতাপেটার শিকার হয়েছেন এক যুবক। আব্দুল জব্বার নামের ওই যুবক মনোহরদী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতা বলে জানা গেছে।
রবিবার দুপুরে আসাদনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিন একটি নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে নিজেকে 'উপজেলা সমন্বয়ক' পরিচয় দিয়ে ভবনের মালিকের কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন জব্বার। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে গণপিটুনি দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে।
ঘটনার পরপরই গণধোলাইয়ের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, আব্দুল জব্বার দীর্ঘদিন ধরে মনোহরদীর বিভিন্ন এলাকায় ‘ভুয়া সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। তার নেতৃত্বে একটি কিশোর গ্যাং নিয়মিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থান করে এবং রোগী কিংবা সেবা নিতে আসা লোকজনের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করে।
এছাড়াও, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী জানান, সম্প্রতি জব্বারের চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতির ওপর হামলা চালান জব্বার ও তার সহযোগীরা।
স্থানীয়দের দাবি, জব্বার সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় ভয়ভীতির পরিবেশ তৈরি করেছেন এবং এক ধরনের চাঁদাবাজির সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। তার বিরুদ্ধে আগে কোনো কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ায় সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে নরসিংদীর পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বলেন, “ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
(ঢাকাটাইমস/৭জুলাই/এলএম)

মন্তব্য করুন