শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১০ জুলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৭ জুলাই ২০২৫, ১৪:১৯
অ- অ+

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আদেশের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (৭ জুলাই) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

এদিনে সকালে অভিযোগ গঠনের শুনানি ঘিরে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন এবং সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন জায়েদ বিন আমজাদ।

শুনানিতে পাঁচটি অভিযোগ তুলে ধরে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘যে পাঁচটি অভিযোগের বর্ণনা দিয়েছি, অ্যাপারেন্টলি ইট ওয়াজ ওয়াইডস্প্রেডেড (ব্যাপক-বিস্তৃতভাবে সংঘটিত হয়েছিল)। অগণিত মানুষ হামলার শিকার হয়েছেন, অনেক হতাহত হয়েছেন। সারা দেশে ৫৬ হাজার বর্গমাইলজুড়ে এ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সর্বত্র, যেখানে যেখানে সম্ভব হয়েছে। পরিমাণে, সংখ্যায় এবং স্থানের ব্যাপকতায় এ অপরাধ বিস্তৃত-ব্যাপক। আর এ অপরাধ সিস্টেমেটিক (পদ্ধতিগত), কারণ সারা দেশে সব জায়গায় একই পদ্ধতিতে এবং একটি নির্দেশের আলোকে হামলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দেশ এসেছে এবং সেই নির্দেশের চেইন অব কমান্ড অনুসারে বাস্তবায়নের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনী এবং অন্যান্য সহযোগী বাহিনী সব জায়গায় একই পদ্ধতিতে অপরাধ করেছে। প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ এসেছে। সারা দেশের সর্বত্র একই পদ্ধতিতে তারা প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেছে। সুতরাং যে অপরাধ বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে এবং যে অভিযোগগুলো আমরা দিয়েছি পুরোটাই ছিল বিস্তৃত এবং পদ্ধতিগত, যা মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে বলে প্রমাণ করে। ফলে আমাদের সবিনয় প্রার্থনা, যে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো এনেছি, তার ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক।’

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১ জুলাই আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী শুনানির জন্য সময় চাইলে আদালত ৭ জুলাই দিন ধার্য করেন। ওইদিনের শুনানি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল।

গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর ১ জুন ট্রাইব্যুনাল এ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় এবং প্রসিকিউশন বিচার শুরুর আবেদন করে। অভিযোগে বলা হয়, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন দমনে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে সশস্ত্র হামলা, হত্যা, হত্যার চেষ্টা, উসকানি ও ষড়যন্ত্রের মতো গুরুতর অপরাধে তারা অভিযুক্ত।

এছাড়া, প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনকে হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটিএবং ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ-এর ধারায়ও অভিযোগ আনা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৭ জুলাই/আরজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গোপালগঞ্জে এনসিপির উপর হামলার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল 
ডাবলিনে গ্রেটার মৌলভীবাজার অ্যাসোসিয়েশন অফ আয়ারল্যান্ডের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত 
এনসিপি ফের গোপালগঞ্জ যাবে, প্রতিটি ঘরে গণঅভ্যুত্থানের পতাকা উড়বে: নাহিদ ইসলাম
লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার জয়ের কৌশলগত বিশ্লেষণ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা