আলফাডাঙ্গায় মাদ্রাসা বন্ধ রেখে শিক্ষকদের কর্ম ফাঁকির অভিযোগ
‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষকরা হচ্ছেন মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষকদের প্রতি জাতির অনেক আশা-ভরসা। আর সেই শিক্ষকরাই যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে কর্ম ফাঁকি দেন তাহলে জাতি তাদের কাছে কী আশা করতে পারে?’
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার বানা ইউনিয়নের বানা শ.প. দাখিল মাদ্রাসা বন্ধ রেখে শিক্ষকদের কর্ম ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ এনে এক অভিভাবক এভাবেই ব্যক্ত করছিলেন তার প্রতিক্রিয়া।
জানা যায়, সোমবার দুপুর ১টায় বানা শ.প.দাখিল মাদ্রাসাটি বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে সুপার আবদুল লতিফসহ সব শিক্ষক চলে যান। এ খবর জানাজানি হলে সুপার উপজেলা পরিষদে মিটিংয়ের কথা বলে সহ-সুপারের ওপর দায় চাপিয়ে দেন। এই সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম কুদ্দুস ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এখন বেলা দুইটা। আরও আগেই শিক্ষকরা মাদ্রাসাটি বন্ধ করে চলে গেছেন।’ কী কারণে কয়েক ঘণ্টা আগেই মাদ্রাসা বন্ধ করে শিক্ষকরা চলে গেলেন সেটাও তিনি জানতে পারেননি।
এ বিষয়ে জানতে সহ-সুপার মো. লাভলু মিয়ার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে মাদ্রাসাটির সুপার (ভারপ্রাপ্ত) আ. লতিফ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমি সব শিক্ষকের মতামত নিয়ে মাদ্রাসা ছুটি দিয়েছি।’
বানা ইউপি চেয়ারম্যান ও মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাদী হুমায়ুন কবীর বাবু মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষকরা মাদ্রাসায় এসে পড়ানো বাদ দিয়ে রাজনীতি করেন। তাদের বিরুদ্ধে আপনারা নিউজ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা ম্যাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোসা. মাহাফুজা বেগম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আজ মাদ্রাসা খোলা আছে। বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখছি।’
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহম্মাদ আবুল খায়ের বলেন, ‘আমি শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি।’
(ঢাকাটাইমস/০৩অক্টোবর/প্রতিনিধি/জেবি)
মন্তব্য করুন