ইলিশ শিকার: শরীয়তপুরে সাত দিনে ৯৪ জেলেকে দণ্ড
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ ধরা ও বিক্রি করায় শরীয়তপুরে গত সাত দিনে ৯৪ জন জেলে ও ব্যবসায়ীকে দণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া তিন লাখ ২৮ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকার ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে ইলিশ মাছ শিকার নিষিদ্ধ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য শরীয়তপুরে পুলিশ, র্যাব ও মৎস্য প্রশাসনের অনেকগুলো টিম নদীতে টহল দিচ্ছে। গতকাল ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত সাত দিনে ৪৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে ৭৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৯৪ জন জেলে ও ব্যবসায়ীকে আটক করে দণ্ড দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৪৪ জন জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ জনকে বিভিন্ন অংকের জরিমানা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত তিন লাখ ২৮ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। আটককৃতদের কাছ থেকে এক টন ইলিশ মাছ উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া তিনটি ট্রলারও জব্দ করা হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বলেন, নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ মাছ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গত বছর অনেক জেলেকে মানবিক বিবেচনায় তিন মাস বা ছয় মাস কারাদণ্ড দেয়া হলেও এবার কোনো ছাড় দেয়া হচ্ছে না। মূল অপরাধীদের এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হচ্ছে। ইলিশ মাছ রান্না করে বিক্রির অপরাধে চার হোটেল ব্যবসায়ীকেও আমরা জরিমানা করেছি।
জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, গত দুই বছর নদীতে কঠোর নজরদারি থাকায় এবার ইলিশের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। যার সুফল আমরা ইতিমধ্যেই পেয়েছি। তাই এবারও প্রশাসনের সর্বোচ্চ নজরদারি রয়েছে। প্রশাসনের সব স্তর থেকে মৎস্য প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/প্রতিনিধি/জেবি)
মন্তব্য করুন