কুমিল্লায় আটক ‘জঙ্গি’দের বড় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল: পুলিশ
কুমিল্লার চান্দিনায় বাসে তল্লাশির সময় পুলিশের ওপর বোমা হামলার পর আটক দুই ‘জেএমবি’ সদস্যের বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাহিনীটি জানায়,
আটক হাসান ও জসিম ওরফে জহির বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
মঙ্গলবার আটক হাসানকে নিয়ে পুলিশের জঙ্গিবিরোধী বিশেষ শাখা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও জেলা পুলিশ গভীর রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাইয়ে অভিযান চালায়। সেখানে রেদোয়ান ভবন নামের একটি বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ হ্যান্ড গ্রেনেড, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা করা হয়।
বুধবার কুমিল্লায় নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান, মঙ্গলবার জেএমবি সদস্য জসিম ও হাসান চট্টগ্রাম থেকে ফেনীতে এসে বাস পরিবর্তন করে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে উঠে। বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনার তীরচর এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়েন তারা। এরপর দুইজন পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
পুলিশ সুপার জানান, আটক জসিম ওরফে জহির বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর হাসানের তথ্য অনুযায়ী হাসানকে নিয়ে পুলিশ মিরসরাইসহ আরও কয়েকটি স্থানে অভিযানে যায়।
কী পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে- জানতে চাইলে পুলিশ সুপার জানান, ‘এখনো অভিযান শেষ হয়নি। তা ছাড়া অন্য স্থানেও অভিযান হতে পারে, অভিযান শেষ হলেই তা পুলিশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত
জানানো হবে।’
আটক হাসানের বাড়ি খাগড়াছড়ির নাইক্ষ্যংছড়ি জানালেও জসিমের পুরো পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি কুমিল্লার পুলিশ সুপার।ঢাকাটাইমস/০৮মার্চ/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি
মন্তব্য করুন