কুমিল্লায় প্রবাসী হত্যায় নারীসহ ৩ জনের ফাঁসি
মুক্তিপণ আদায় করতে না পেরে শামসুল হুদা (৩৮) নামে এক প্রবাসীকে হত্যায় নারীসহ তিনজনকে মৃত্যুদ-াদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার এ আদেশ দেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক নূর নাহার বেগম শিউলী।
দ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মানিকপুর গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে পলাতক আসামি শিপন মজুমদার ওরফে রিপন (২২), একই উপজেলার আটগ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে সাহাবুদ্দিন (২২) এবং নগরীর চাঁনপুর বউ বাজার এলাকার মো. খোকন মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা ওরফে সালমা (২৬)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামিরা প্রবাসী শামসুল হুদার কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এতে শামসুল হুদা প্রকাশ শামসু’র বড়ভাই মোঃ জসিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে দাবিকৃত মুক্তিপণের টাকা দিতে অস্বীকার করায় ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর বেলা দেড়টার সময় কুমিল্লা হাউজিং স্টেট এলাকায় বিবর্তন নামক বিল্ডিংয়ের ৫মতলায় প্রবাসী শামসুল হুদাকে গ্রিলের সাথে হাত-পা বেঁধে পুরো মুখে স্কচটেপ প্যাঁচিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মৃত শামসুল হুদার বড়ভাই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক জসিম উদ্দিন মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে প্রথমে নগরীর চাঁনপুর বউ বাজার এলাকার মো. খোকন মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা ওরফে সালমাকে আটক করে। পরবর্তীতে তাসলিমার তথ্য মতে, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম মিয়ার বাজার বাসমতি নামক খাবার হোটেল থেকে আসামি শিপন মজুমদার ওরফে রিপন ও সাহাবুদ্দিনকে আটক করে কোতয়ালি থানা পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন ২০১৪ সনের ১০ মে আসামি শিপন মজুমদার, সাহাবুদ্দিন ও তাসলিমার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে এলে ২২ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৮জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি শিপন মজুমদার (পলাতক), আসামি সাহাবুদ্দিন ও তাসলিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদ-াদেশ দেন বিচারক। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের এপিপি অ্যাড. সৈয়দা রেখা এবং আসামি পক্ষে অ্যাড. ইকরামুল হক ও অ্যাড. নাইমা সুলতানা মুন্নী।
(ঢাকাটাইমস/২২মার্চ/এমএ/ইএস)
মন্তব্য করুন