পুকুর থেকে সরকারি ওষুধ উদ্ধার, তিন তদন্ত কমিটি
বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির স্টাফ কোয়ার্টারের পুকুর থেকে সরকারি ওষুধ উদ্ধারের ঘটনায় ১২ সদস্যের পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শনিবার সকালে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকালে ওই ঘটনায় ৩টি কমিটি গঠন করেছে। এর মধ্যে হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ওষুধ ইন্ডেন্ট ও বন্টনের হিসাব তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে উপ-পরিচালক ডা. মো. আব্দুল কাদিরকে। এছাড়া সদস্যরা হলেন- মেডিসিন বহির্বিভাগের আরপি ডা. এম আর খান, মেডিসিন-১ ইউনিটের রেজিস্ট্রার ডা. সালমান হোসেন, মেডিসিন-২ এর রেজিস্ট্রার ডা. গোলাম ইশতিয়াক, মেডিসিন-৩ এর রেজিস্ট্রার ডা. মুহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম ও মেডিসিন-৪ এর রেজিস্ট্রার ডা. নওয়াজ হোসেন।
হাসপাতালের ওষুধের সাব-স্টোর তদন্ত করার জন্য সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মশিউর আলমকে প্রধান করে অপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- শিশু বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. ফজলুল হক পনির ও উচ্চমান সহকারী মো. গোলাম ফারুক মৃধা।
এছাড়া হাসপাতালের ওষুধের মেইন স্টোর তদন্ত করার জন্য সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ভাণ্ডার) ডা. মো. ইউনুস আলীকে প্রধান করে আর একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সার্জারি বিভাগের সার্জন ডা. আব্দুর রহিম ও অফিস সহকারী সৈয়দ মাকসুদুল আলম।
আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ প্রদান করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম।
এদিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত মো. আওলাদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় আটক শেফালী ও মামুনের বিরুদ্ধে উপ-পরিদর্শক অরবিন্দু বিশ্বাস বাদী হয়ে সরকারি ওষুধ বিক্রির দায়ে একটি মামলা করেছেন।
শুক্রবার পুলিশ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারীদের কোয়াটারের ৩নং পুকুর থেকে বিপুল পরিমাণের সরকারি ওষুধ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার ওষুধগুলো ২০১৮ এবং কোনটি ২০১৯ সাল পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৩মে/টিটি/এলএ)
মন্তব্য করুন