সপ্তাহের শুরুতে সূচক ও লেনদেন দুটোই কমেছে
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে মন্দাভাব লেগেই রয়েছে। এ মন্দা পরিস্থিতে কমছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। দরপতনের কবল থেকে কিছুতেই যেন মুক্তি মিলছে না। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে নতুন ইস্যুর দরকার বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এর ফলে দ্বিতীয় দিনের মতো পতনে বিরাজ করছে বাজার। এদিন শুরু থেকেই সেল প্রেসারে নামতে থাকে সূচক। মধ্যাবস্থায় একবার ঘুঁড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও শেষ ভাগে ব্যাহত হয় বাজার।
রবিবার লেনদেন শেষে সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকে লেনদেনও আগের দিনের তুলনায় কমেছে। আলোচিত সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৫৮ কোটি টাকা।
এদিকে গত ১১ কার্যদিবসের মধ্যে একদিন সূচক বাড়লেও ১০ কার্যদিবসই কমেছে সূচক ও লেনদেন। টানা পতনের কারণে ১০ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ১৮১.৩৭ পয়েন্ট কমেছে।
রবিবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫৩৬৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২৪৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৯৮২ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দও বেড়েছে ৮২টির, কমেছে ২০১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৪৫৮ কোটি ২৪ লাখ ১২ হাজার টাকা।
গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫৩৯৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২৫৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৯৯১ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৬৩৫ কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৭৬ কোটি ৯৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বা ৩৮.৬২ শতাংশ।
এদিকে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৪৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৭৪ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩০টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দও বেড়েছে ৫৮টির, কমেছে ১৪৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৮৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা।
(ঢাকাটাইমস/২১মে/আলাল/জেবি)
মন্তব্য করুন