উন্নয়নের নামে সংখ্যার জালিয়াতি করছে সরকার: ফখরুল
বর্তমান সরকার ব্যাপক উন্নয়নের দাবি করলেও এর সবই সংখ্যার জালিয়াতি বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকার একদিনে উন্নয়নের কথা বলছে, অন্যদিকে দেশজুড়ে চলছে হাহাকার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
এতে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার অর্থনীতিকে ধ্বংস করে ফেলছে। দেশে বিদ্যুৎ নেই, দাম বাড়ছে সব কিছুর। এই অবস্থায় মানুষের মধ্যে হাহাকার উঠে গেছে। বিএনপি নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাংক লুট করে খাচ্ছে, শেয়ার মার্কেট লুট করেছে। সমন্ত উন্নয়নের কথা বলে উন্নয়নের প্রকল্পে টাকা লুট করে নিচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি বলেছেন দেশে আইনের শাসন নেই, তাহলে বলার অপেক্ষা থাকে না দেশের অবস্থা কোথায় চলে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার জন্য নয়, দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে দিতে বিএনপি নির্বাচনে যেতে যায়। তবে সেই নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারে অধীনে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই তিস্তার পানি চুক্তি হয়নি। আজ অভিন্ন ৫৪ টি নদীতে পানি নেই।’
জেলা বিএনপির সভাপতি ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, তাঁতীদলের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে খারাপ সময় চলছে। কারণ এখানে সরকার গণতন্ত্রের মুখোশ পড়ে আছে। তারা প্রকৃতপক্ষে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করেছে।’ বিএনপি নেতা বলেন, ‘শুধু একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বললে ভুল হবে, সরকার কায়েম কেেরছে এক ব্যক্তির শাসন। এখানে মানবাধিকার বলতে কিছু নেই, জবাবদিহিতা নেই। একটা সংসদ আছে যেখানে জনগণের সমস্যা সমাধানের কোনো আলোচনা করা হয় না। যে সংসদে বিরোধী দল আছে যাকে সবাই বলে গৃহপালিত বিরোধী দল। তারা জলসা পার্টির দর্শক হয়ে শুধু হাতে তালি দেয়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পদ-পদবির জন্য নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য, গণতন্ত্রের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, মা বোনদের সম্মানের জন্যে আওয়ামী লীগ সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার ব্যবস্থা করতে হবে।
সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের তল্লাশির তীব্র নিন্দা জাননো হয়। তারা বলেন, এই তল্লাশি কেবল বিএনপির উপর আক্রমণ নয়, এটা গণন্ত্রের উপর আক্রমণ দেশের মানুষের আক্রমণ।
সম্মেলন শেষে আসাদুল হাবিব দুলুকে সভাপতি ও হাফিজুর রহমান বাবলাকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন বছরের জন্য লালমণিরহাট বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়।
ঢাকাটাইমস/২৫মে/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি
মন্তব্য করুন