ট্রাককে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, প্রাণ গেল মামা-ভাগ্নের
নীলফামারীর জলঢাকায় একটি দাঁড়ানো ট্রাককে এসে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় নিয়ন্ত্রণহীন একটি মাইক্রোবাস। এতে মাইক্রোবাসের দুই যাত্রী মামা ও ভাগ্নে নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হন আরো ছয়জন।
শুক্রবার ভোর চারটার দিকে উপজেলা শহরের রংপুর সড়কের পেট্রোলপাম্প এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের সুঠিবাড়ি গ্রামের শাহনুর ইসলামের ছেলে দুবাই হতে আসা রফিকুল ইসলাম ও নিহত রফিকুল ইসলামের ভাগ্নে ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে লোকমান হোসেন কবীর।
আহত ছয়জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে মাইক্রোচালক মোজাম্মেল হোসেনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে, সে ঘটনার পর পালিয়ে গেছে।
আহতরা হলেন- নিহত রফিকুল ইসলামের বাবা শাহানুর ইসলাম, ছোট ভাই রুবেল ইসলাম, রফিকুলের পাঁচ বছরের ছেলে রিয়াদ ইসলাম ও রফিকুলের সঙ্গে দুবাই হতে আসা ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম খড়িবাড়ি গ্রামের মনোয়ার খন্দকারের ছেলে সানোয়ার খন্দকার ও তার মেয়ে সালমা এবং ভাগ্নি জামাই সহিদুল ইসলাম।
হতাহতদের পরিবার বলছে, ডিমলার রফিকুল ও সানোয়ার দুইজনে দুবাইয়ের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। তারা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরে আসে। তাদের ঢাকাস্থ হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর হতে নিয়ে আসতে দুই পরিবারের সদস্যরা ডিমলার মতিরবাজার হতে বাবু মিয়ার মাইক্রোবাস (চট্ট মেট্রো-চ-১১-২৯৬৬) ভাড়া করে ঢাকায় যায়। সেই মাইক্রোবাসে করে তারা এক সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল।
জলঢাকা থানার এসআই মিজানুর রহমান জানান, জলঢাকার পেট্রোল পাম্প এলাকার সড়কের ধারে ডিমলা সড়কমুখী হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-৭৩৪০) এ সময় ওই মাইক্রোবাসটি দ্রুতগতিতে এসে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে এসে ধাক্কা দিলে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে মাইক্রোসবাস হতে নিহত দুইজন ও আহত ছয়জনকে উদ্ধার করে।
আহতদের প্রথমে জলঢাকা হাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
মাইক্রোবাসের মালিক ডিমলার মতিবাজারের বাবু মিয়া জানান, তার গাড়ি চালক মোজাম্মেল হোসেনকে তিনিও খুঁজে পাচ্ছেন না। তার মোবাইলটি বন্ধ রয়েছে।
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, মাইক্রোবাস ও ট্রাকটি জব্দ করে থানায় রাখা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৬মে/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন