জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে বাড়ছে ৫০০ শয্যা
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জানিয়েছেন, আগামী বছরের জুন মাস নাগাদ আরও ৫০০ শয্যা সংযোজন করে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের সম্প্রসারণ কাজ সম্পন্ন করা হবে। তিনি বলেন, এখন থেকে অন্যান্য সরকারি হাসপাতালের মতো হৃদরোগ হাসপাতালেও বিনামূল্যের শয্যায় ভর্তি হওয়া রোগীদের জন্য সব ধরনের রক্ত পরীক্ষা বিনামূল্যে করার ব্যবস্থা করা হবে।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল পরিদর্শনে শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী একথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুপুর পৌনে একটায় হাসপাতালে আসেন। তিনি বহির্বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
পরে ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীদের পাশে কিছুক্ষণ অবস্থান করে তাদের সাথে কথা বলে স্বাস্থ্যসেবার খোঁজ-খবর নেন।
এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের সম্প্রসারণ কাজের অগ্রগতি জানতে চান।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলো দেশের গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল। সাধারণ মানুষের সেবা নিয়ে কোনো গাফিলতি সরকার মেনে নেবে না।
পরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতি আজ বিশ্বব্যাপী আলোচনার বিষয়। গত সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্মেলনে ১৯৪ দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের আলোচনায় বাংলাদেশের অর্জন প্রসঙ্গটি বারবার এসেছিল। বাংলাদেশের এই অর্জনকে এগিয়ে নিতে হলে চিকিৎসকদেরকেই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
নাসিম বলেন, সীমিত সম্পদের এই দেশে সরকারি স্বাস্থ্যসেবাকে কাঙ্ক্ষিত মানে নিয়ে যেতে সরকারের সব উদ্যোগ সফল হবে যদি চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় জনবল পর্যাপ্ত থাকে। দেশে নার্স সংকট অনেক কমে গেলেও, রোগীর চাপের তুলনায় ডাক্তার অপ্রতুলতা আজো দূর করা সম্ভব হয়নি।
মন্ত্রী পরে হাসপাতালের সিসিইউ, ক্যাথল্যাব, জরুরি বিভাগ, বিভিন্ন ওয়ার্ডসহ হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসাধীন শয্যার অতিরিক্ত ভর্তি হওয়া রোগীদের সাথে কথা বলে সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হন।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/২৭মে/জেবি)
মন্তব্য করুন