খেজুর-ছোলার পুষ্টিগুণ
রোজায় জনপ্রিয় দুই ইফতার উপকরণ ছোলা আর খেজুর। দুটি উপকরণই পুষ্টিগুণে ভরপুর। পুষ্টিবিদরা জানান, সারাদিন না খেয়ে থাকার পর শরীরের জন্য খুবই উপকারী এই দুটি পণ্য।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন বলে মুসলিমদের মধ্যে এই ফলটির কদর অন্য রকম। রোজায় ইফতার উপকরণে আর যাই কিছু থাকুক না না থাকুক, খেজুর সবার চাইই চাই।
পুষ্টিবিদ ও বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের প্রভাষক মুনমুন খান ঢাকাটাইমসকে জানান এই দুটি খাবারের উপকারিতা সম্পর্কে।
খেজুর
মরুভূমির এই ফলটিতে এতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি। এই রমজানে ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। শর্করা, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এর অন্যতম উৎস হচ্ছে খেজুর।
খেজুরের গুণাগুণ
• খেজুরে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে যা শরীরে শক্তি জোগায়।
• প্রচুর পরিমাণে ফাইবার/আঁশ রয়েছে যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা কম।
• হজমে সাহায্য করে।
• ইফতারে খেজুর খেলে ক্ষুধা ভাব কমায়। ফলে অতিরিক্ত খাওয়া হয় না।
ছোলা
স্বাস্থ্যকর এবং মুখরোচক খাবার হিসেবে ছোলার বেশ সুনাম রয়েছে। আমিষের অন্যতম উৎস এই পণ্যটি। কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে রেখে আদা, লবণ দিয়ে খেলে শরীরে শক্তিও যোগায় অনেক। আমিষ ছাড়াও ছোলায় আছে শর্করা এবং ফ্যাট। খাওয়ার খুব অল্প সময় পরেই এটি হজম হয়ে যায়। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য আদর্শ খাবার হচ্ছে ছোলা। এবং এর ফ্যাট শরীরের ক্ষতি করে না।
ছোলার গুণাগুণ
• শরীরে শক্তি যোগায়।
• রক্তের চর্বি কমাতে সহায়তা করে।
• নিরামিষভোজীদের আমিষের অন্যতম উৎস।
• হৃদযন্ত্র ভাল রাখে ছোলা।
• ক্যানসার প্রতিরোধী।
ঢাকাটাইম্স/০১জুন/টিজেটি/ডব্লিউবি
মন্তব্য করুন