৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম ইনকিলাবের চাকরিচ্যুতদের
বকেয়া বেতনসহ যাবতীয় পাওনার দাবিতে ইনকিলাব ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে প্রতিষ্ঠানটির চাকরিচ্যুত সাংবাদিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। সংবাদকর্মীদের ছাঁটাই থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষের প্রতি।
ইনকিলাবের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীর মতিঝিলের টিকাটুলিতে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পূর্ব ঘোষিত এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
ঘেরাও কর্মসূচি থেকে ইনকিলাব সম্পাদককে আবারও ৭২ ঘণ্টার সময় দেয়া হয়েছে। এসময়ের মধ্যে চাকরিচ্যুদের সব পাওনা এক চেকে পরিশোধ করা না হলে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
আন্দোলনকারীরা বলেন, পবিত্র রমজান মাস চলছে। সামনেই ঈদ। কিন্তু এখনো কেন চাকরিচ্যুতদের পাওনা পরিশোধ করা হয়নি।
বকেয়া পাওনা আদায়ে তথ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করে বক্তারা বলেন, ইনকিলাব সম্পাদক পত্রিকাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শ্রমিক কর্মচারীদের পাওনাদি আত্মসাৎ করে আসছেন। অতীতে আত্মসাতের প্রতিকার না করায় তিনি এখন শতাধিক সাংবাদিক-কর্মচারীর কোটি কোটি টাকা মেরে দেয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছেন। এটি গণমাধ্যমের জন্য একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
ইনকিলাব সম্পাদকের এই ‘হীনপ্রচেষ্টা’ প্রতিহত করতে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হতে চাকরিচ্যুতদের পরামর্শ দিয়েছেন বক্তারা। একই সঙ্গে সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দীন ও পত্রিকার অন্যান্য পরিচালকের বাড়ি ঘেরাওসহ তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার পরামর্শ দেয়া হয়।
সিনিয়র রিপোর্টার আফজাল বারীর সঞ্চালনায় ঘেরাও কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন- ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক আবদুল আউয়াল ঠাকুর, বার্তা সম্পাদক রবিউল্লাহ রবি, বিশেষ সংবাদদাতা শামীম চৌধুরী, মফস্বল সম্পাদক জামান সৈয়দী, সিনিয়র রিপোর্টার এনামুল হক সরকার (এনাম সরকার), সিনিয়র সাব-এডিটর মিজানুর রহমান, জহিরুল হক চাখারি, বিভাগীয় সম্পাদক (নারী) ফাহমিদা আহমেদ ও রেফারেন্স ইনচার্জ আজিজ মিজি।
(ঢাকাটাইমস/০৪জুন/বিইউ/জেবি)
মন্তব্য করুন