পুলিশের বিরুদ্ধে লাশ উদ্ধারে ব্যর্থতার অভিযোগ
আদালতে রাবেয়া ইসলাম রাবুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির তিন পার হলেও মাহফুজ সরকারের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। নিহতের আত্মীয়-স্বজনরা হন্যে হয়ে লাশ খুঁজে বেড়ালেও পুলিশের পক্ষ থেকে উদ্ধারে তেমন কোন উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ স্বজনদের।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নুরে আলম হোসাইন বলেন, ঘাতক রাবুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা তল্লাশি চালিয়েছে, কিন্তু লাশের কোন হদিস করতে পারেনি। তবে লাশের সন্ধানে পুলিশ কোন ডুবুরির সহযোগিতা নেয়নি। তবে অনুসন্ধান অব্যাহত আছে।
পক্ষান্তরে নিহতের ভাই রাসেল অভিযোগ করেন, মাহফুজের লাশ উদ্ধারে পুলিশ খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। উপরন্ত পুলিশ রাবুর কাউন্টার মামলা গ্রহণ করেছে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, গত ১ জুন থেকে ঘাতক রাবেয়া পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এরই মধ্যে রাবেয়া বাদী হয়ে গত ৫ জুন নরসিংদী সদর মডেল থানায় নিহত মাহফুজ সরকার, শাহিন নামে দুই জনের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ এনে কাউন্টার মামলা করেছে। পুলিশ হেফাজতে থাকা রাবু কিভাবে থানায় কাউন্টার মামলা করার সুযোগ পায়, এ নিয়ে জনমনে প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে।
এদিকে রাবু আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, ২৭ মে শনিবার সন্ধ্যায় প্রথম তারাবির দিন মাহফুজের খণ্ডিত লাশ দুটি ট্রাভেল ব্যাগে ভর্তি করে নরসিংদী থানার ঘাট থেকে মরিচাকান্দির উদ্দেশ্যে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে রওয়ানা হই। তখন সহযোগী শাহাদাৎ সাথে ছিল। পরে মাঝ পথে খণ্ডিত লাশ ভর্তি ট্রাভেল ব্যাগ দুটি নদীর পানিতে ফেলে দেয়। এরপর মরিচাকান্দি গিয়ে পুলিশের কাছে ধরা পড়ে।
নিহতের স্বজনরা জানায়, ১ জুন রাবুকে আমরা তথ্য দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেই। ১ জুনের পর থেকে ৬ জুন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পূর্ব পর্যন্ত রাবেয়া পুলিশের হেফাজতে ছিল। পুলিশ হেফাজতে থেকে ভিকটিমের বিরুদ্ধে কিভাবে কাউন্টার মামলা সুযোগ পায়, এনিয়ে নরসিংদীর আইনজীবী ও সচেতন মহলে নানা প্রশ্নের উদ্রেক করেছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নুরে আলম হোসাইনের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, রাবু পুলিশের সাথে ১৬১ ধারায় স্বীকারোক্তি দানকালে যে বক্তব্য দিয়েছে, তার চেয়ে স্পষ্টভাবে বক্তব্য দিয়েছে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে। তবে সে পুলিশের কাছে যা বলেছে, তার অনেক কিছুই আদালতে বলেনি।
মাহফুজ রাবেয়ার সাথে অনৈতিক সম্পর্কের কথা ফাঁস করে দেয়ার আশংকায় রাবু তাকে হত্যা করে থাকতে পারে জানায় পুলিশ।
(ঢাকাটাইমস/৮জুন/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন