ভৈরবে লোডশেডিং: বিদ্যুতের দাবিতে সমাবেশ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রতিদিন বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গ্রীষ্মের তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে বলেও অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার ভৈরবের মানিকদি এলাকায় বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন গ্রাহকরা।
স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিস বলছে, তারা আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। ফলে প্রতিদিনই একাধিকবার লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছে।
ভৈরবে প্রতিদিন ৩৩ হাজার গ্রাহকের জন্য ৩৫ মেগাওয়াড বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্ত আশুগঞ্জ থেকে প্রতিদিন পাওয়া যায় ২৩ থেকে ২৮ মেগাওয়াড বিদ্যুৎ। তারপর এখান থেকে প্রতিদিন ৬ মেগাওয়াড বিদ্যুৎ কুলিয়ারচর উপজেলা এলাকায় সরবরাহ দিতে হয়। যে কারণে ভৈরবে বিদ্যুৎ থাকে ১৭ থেকে ২৩ মেগাওয়াড। ফলে ভৈরবের গ্রাহকরা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছে না।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডা. জালাল উদ্দিন বলেন, ভৈরবের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে হাসপাতালে রোগীদের অপারেশনসহ নানা সমস্যা হচ্ছে। আউটডোরে দিনে গরমের জন্য রোগী দেখা যাচ্ছে না। ভর্তিকৃত রোগীরাও দুর্ভোগে রয়েছেন। মুমুর্ষ রোগীদের জটিল অপারেশন করতে বিলম্ব হয়। তাই বিদ্যুৎ সমস্যাটি সমাধান হওয়া প্রয়োজন।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা আহমেদ জানান, এখানে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এত বেশি যে, এতে মানুষ অতিষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত গ্রাহকরা আমার কাছে অভিযোগ করছে বিদ্যুতের লোডশেডিং দূর করতে।
ভৈরব বিদ্যুৎ বিতরণ ও সরবরাহ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুর রহমান জানান, আশুগঞ্জে একটি নুতন পাওয়ার ট্রান্সফরমার বসানো হচ্ছে যা দিয়ে ভৈরব বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
এসব কাজ সম্পন্ন হলে আগামী দুই মাসের মধ্যে ভৈরবে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহ করা যাবে।
(ঢাকাটাইমস/৯জুন/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন