দেলদুয়ারের আকাশে উড়ছে বিশাল আকৃতির ঘুড়ি
করোনা সংক্রমণ রোধে বন্ধ রয়েছে দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান। ফলে অলস সময় পার করছে শিক্ষার্থীরাসহ অনেকেই। বিরক্তিকর ঘরবন্দি থেকে একটু স্বস্তি পেতে ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি খেলা নিয়ে মেতে ওঠেছেন এসব শিক্ষার্থীরা। ফাঁকা জায়গায় ও বাড়ির ছাদে ঘুড়ি উড়াতে দেখা যায় শিক্ষার্থীসহ অনেককেই। তবে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় উড়তে দেখা গেছে বিশাল আকৃতির একটি ঘুড়ি।
দেলদুয়ার উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা সদরে বাসিন্দা ফেরদৌস আহম্মেদের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে শাহ আসিফ কামাল (তৌসিফ) তৈরি করেছেন ৪৬ ফিট লম্বা এই ঘুড়ি। যা নজর কেড়েছে ঘুড়ি প্রেমিকদের। ঘুড়িটির দৈর্ঘ্য ১৬ ফিট, প্রস্থ ১২ ফিট। এর নিচে কাপড় লাগানো হয়েছে ৩০ ফিট। গত এক সপ্তাহ ধরে তৌসিফের সঙ্গে আরও তিনজন শ্রমিক টানা কাজ করে ঘুড়িটি নির্মাণ করেন। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ১০০০০ টাকা।
প্রথম পর্যায়ে স্থানীয়রা ধারণা করেছিলেন, বিশাল এই ঘুড়ি হয়তো আকাশে উড়বে না। তবে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেলদুয়ারের আকাশে উড়ল বিশাল আকৃতির এই ঘুড়িটি।
তৌসিফ জানান, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় লম্বা সময় ঘরবন্দি হয়ে অনেকটাই বিরক্ত হচ্ছিলেন তিনি। তার বাবার সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় জীবানুনাশক ছেটানো এবং কর্মহীনদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেও সময় কাটছিল না। এমন সময় চারিদিকে ঘুড়ি উড়ানো দেখে দেলদুয়ারের আকাশে সবচেয়ে বড় ঘুড়ি উড়ানোর শখ জাগে তার। যা দেখে সাধারণ মানুষ লকডাউনের মধ্যেও আনন্দ উপভোগ করবে। এরপর থেকেই তৌসিফ শুরু করেন ঘুড়ি তৈরির কাজ।
তৌসিফের বাবা সাবেক চেয়ারম্যান ফেরদৌস আহমেদ জানান, করোনাকালে লম্বা সময় বাড়িতে থেকে যখন বিরক্ত হচ্ছিল, তখন তৌসিফ এই ঘুড়িটি তৈরি করে। ঘরে থেকে মানসিক বিপর্যয়ে পড়তে পারে ভেবে ছেলের এই উদ্যোগকে সমর্থন করেছেন তিনি।
ঢাকাটাইমস/৭জুন/পিএল