শব্দ নিয়ে চলচ্চিত্র ‘দ্য সাউন্ড’

যদি কোনও গাছ জঙ্গলে পড়ে এবং আশেপাশে কেউ শুনতে না পায়, তার মানে কি কোনও শব্দ হয়নি গাছটি পড়ার সময়? কোনও শব্দ না করে এই জীবনে কি কিছু ঘটে? শব্দ শোনা যায়নি, এমন কোনও ঘটনা যদি ঘটে, তবে নীরবতা মানে কী? চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার জুলফিকার জাহেদী তার চলচ্চিত ‘দ্য সাউন্ড’-এর মাধ্যমে এই বিষয়টিই আবিষ্কার করেছেন।

তিনি দাবি করেন, সততা সব সময় শব্দের সঙ্গে আসে। জীবন কোনও কিছু শোনার সঙ্গে সঞ্চারিত হয়। মিথ্যাটিই চুপ হয়ে থাকে শব্দহীনভাবে। জীবনের ক্ষুদ্রতম থেকে বৃহত্তর অনুষ্ঠান পর্যন্ত শব্দের গুরুত্ব তিনি প্রদর্শন করেছেন কিছু পতিতালয়ের যৌনকর্মীর আচরণের উদাহরণ দিয়ে।

‘দ্য সাউন্ড’ বা শব্দ এমন একটি চলচ্চিত্র যা আপনাকে বিতর্কিত করবে আপনার চিন্তাভাবনায়। কখনো বা আপনাকে ভাবিয়ে তুলবে আশাবাদী হিসাবে। এই নির্মাতা বাস্তব জীবনের কিছু শব্দের গুরুত্বের দিকে মনোনিবেশ করার চেষ্টা করেছেন। তবে বিতর্কিত কিছু শব্দ আর উদাহরণ দিয়েছেন, যা আপনাকে আজকের সমাজে সত্য, সততা এবং নারীদের অবস্থান সম্পর্কে অবাক করে তুলবে।

কলকাতার মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রিক ভরদ্বাজের একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়ে চলচ্চিত্রটির সংলাপ এবং চিত্রনাট্য করেছেন জুলফিকার জাহেদী। আদ্রিয়ান ফিল্মস প্রোডাকশন প্রযোজিত চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন শিশির আহমেদ, তানিন সুবহা, জান্নাত সানাই, আশরাফ কবির, আসমা শিউলি, অনামিকা যুথী প্রমুখ। একটি বিশেষ চরিত্রে নির্মাতা জুলফিকার জাহেদীকেও দেখা যাবে।

এরইমধ্যে চলচ্চিত্রটি বিশ্বের বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করেছে এবং অর্জন করেছে সম্মাননা। নির্মাতা বলেন, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে প্রত্যেক শ্রোতা একটি সামাজিক বক্তব্য পাবে। গল্পের প্রয়োজনে এখানে একটি থিম সং রয়েছে। সেটির সুর ও সংগীত আয়োজনে ছিলেন অভিষেক ব্যানার্জি, গেয়েছেন স্নেহালিনা চক্রবর্তী।

আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন চলচ্চিত্র ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হচ্ছে ‘দ্য সাউন্ড’। জাহেদী বলেন, ‘এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আমরা ১১টি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয় অর্জন করেছি। সাতটিতে অফিশিয়াল সিলেকশন পেয়েছি।’ তার দাবি, ‘ব্যতিক্রমধর্মী এই চলচ্চিত্রটি সবার প্রসংশা কুড়িয়ে সাফল্য বয়ে আনার পাশাপাশি সবাইকে ভাবিয়ে তুলবে।’

ঢাকাটাইমস/১৭জুন/এএইচ