দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন কাজী অনিক

ডোপ টেস্টে পজিটিভ প্রমাণিত হওয়ায় দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন ২১ বছর বয়সী বাংলাদেশি পেসার কাজী অনিক। অপরাধ স্বীকার করে নিয়ে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাদক বিরোধী নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে তাকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
রবিবাার (২৬ জুলাই) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানান, মেথামফেটামিন নামক এক ধরনের ওষুধ সেবনের মাধ্যমে বিসিবির এন্টি ডোপিং কোডের ৮.৩ নম্বর ধারা ভঙ্গ করেছেন কাজী অনিক। তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগও সে স্বীকার করেছে। আগামী দুই বছর নিষেধাজ্ঞার কারণে কোনো ধরনের ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না তিনি।
২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর কক্সবাজারে ডোপ টেস্ট করা হয় ঢাকা মেট্রোর হয়ে ঐসময় জাতীয় লিগে খেলতে থাকা কাজী অনিকের। তার সেই ফলাফল পজিটিভ আসে। ২০১৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তার শাস্তির মেয়াদ কার্যকর ধরা হচ্ছে। ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বশেষ আসরের প্লেয়ার ড্রাফট শুরুর আগ মুহূর্তে ঘোষণা দেওয়া হয়, ড্রাফট থেকে অনিকের নাম প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু ঠিক কী কারণে তাকে বাদ দেওয়া হলো তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে পরবর্তীতে জানা যায়, ডোপ টেস্টে ফেঁসে যাওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
২১ বছর বয়সী কাজী অনিক ৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ, ২৬ টি লিস্ট-এ ম্যাচ ও ৯টি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। সেখানে অনিকের উইকেট সংক্যা যথাক্রমে ১৫,৪১ ও ১১। ২০১৮ সালে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন তিনি, প্রতিনিধিত্ব করেন টাইগার যুবাদের।
২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ১৭টি যুবা ওয়ানডে খেলে ১৯টি উইকেট শিকার করেন কাজী অনিক। ২০১৮ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্র্রাহক ছিলেন অনিক। ৬ ম্যাচে ১৯.৭০ গড়ে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট।
২০১৯ সালে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে বিপিএলে ৫টি ম্যাচ খেলেন কাজী অনিক, উইকেট পান ৪টি। ২০১৭ সালে রাজশাহী কিংসের পক্ষে ৩ ম্য্যাচ খেলে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।
(ঢাকাটাইমস/২২৭ জুলাই/এআইএ)

মন্তব্য করুন