সব প্রস্তাবে একমত হতে বললে আলোচনায় কেন ডাকা হয়েছে: সালাহউদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৯ জুন ২০২৫, ২১:৩৮
অ- অ+

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সব প্রস্তাবে একমত হতে বললে আলোচনায় কেন ডাকা হয়েছে? এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

রবিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ঐকমত্য কমিশনে আমাদের একটা শর্ত ছিল যে এনসিসি মতো বা সাংবিধানিক নিয়োগ কমিটির মত কোনো বিষয় এখানে থাকলে আমরা সেই বিবেচনাটা আগের প্রস্তাব অনুসারে যেতে হবে। সেই বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। রাষ্ট্রপতির নির্বাচন ক্ষেত্রে আমরা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে এমপিরা ভোট দিতে পারবে সেই বিষয়ে একমত হয়েছি। তো ঐক্যমত তো পোষণ হচ্ছে। এখন যদি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সব প্রস্তাবে যদি আমাদেরকে ১০০ শতাংশ একমত হতে বলে তাহলে আলোচনার জন্য ডাকা হলো কেন?

তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য পোষণ হলে যে সমস্ত বিষয়গুলোতে দলসমূহ একমত হবে, সেই বিষয়গুলো একত্রিত করে জুলাই সনদ বা জাতীয় সনদ স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা। তো এখন এখানে যদি আমাদেরকে বাধ্য করা হয় যে এই সমস্ত বিষয়ে একমত হতেই হবে, সেটা তো সঠিক হলো না।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আজকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে আলোচনার জন্য দুইটা বিষয় নির্ধারিত ছিল। প্রথম বিষয় সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি। দ্বিতীয় বিষয় দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট। তার মধ্যে নিম্ন কক্ষ আছে। এই দুইটা বিষয়ের প্রথম ভাগের আলোচনায় সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান নিয়োগ কমিটি যেটা গত আগের দিনের আলোচনাতেও ছিল এর আগেও ছিল এনসিসি নামে ছিল।

তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমাদের বক্তব্য আগের মতই। আমরা সাংবিধানিক বিভিন্ন সংস্থা কমিশন এবং সংবিধিবদ্ধ সংস্থা কয়েকটি। এর নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের মতামত আগে। যেভাবে ছিল এখনো আছে আমরা চাই সমস্ত সংস্থাগুলোর সহ সহ আইন যেগুলো আছে তার মধ্যে আমরা সংশোধনে আনি এবং সেই আইনগুলোকে সংস্কার করে আরো স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা আমরা নিশ্চয়তা বিধান করি এবং সেই গঠন প্রক্রিয়াটা আরো শক্তিশালী, তার মধ্য দিয়ে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো আমরা আরো জন আকাঙ্ক্ষার সাথে মিলিয়ে, ভবিষ্যতে আমরা সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্মাণ করতে পারব।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই বিদ্যমান আইন যেমন দুর্নীতি দমন কমিশনের বিষয়টি এখানে আসছে। বিদ্যমান আইনে অনেক সংস্কার প্রয়োজন। আমরা প্রয়োজনীয় গণতান্ত্রিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের নিজস্ব, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চয়তা বিধান করতে চাই। একই সাথে একটি শক্তিশালী দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যকর দুর্নীতি দমন কমিশন আমরা গঠন এই কথাগুলো আমরা বলেছি এবং আরো অন্যান্য কমিশন, আইনের দ্বারা নির্ধারিত আরো যদি সংস্থা থাকে সকল বিষয়েই ঐক্যমতের ভিত্তিতে আমরা আইন প্রণয়নের মধ্য দিয়ে সেই নিয়োগ বিধিটা সহ সহ আইনে, কারণ আমরা রাষ্ট্রের মধ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং বিচার বিচার বিভাগ এবং আইনসভা সবগুলো একটা ভারসাম্যমূলক কর্মকাণ্ড বা ভারসাম্যমূলক একটা রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই এবং সকল বিভাগের যার যার আওতাধীন স্বাধীনভাবে আইন কর্মকাণ্ড যাতে পরিচালনা করতে পারে সেই ব্যবস্থাটা আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এই বিষয়ে এখানেই আমার বক্তব্য শেষ আর দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের ক্ষেত্রে আমাদের দলীয় প্রস্তাব যেটা আমাদের ৩১ দফা ছিল সেই প্রস্তাবেই আমরা আবার দিয়েছি, আমরা দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে ১০০ সদস্য বিশিষ্ট উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করতে চাই এবং সেই ১০০ সদস্য পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে অর্থাৎ জাতীয় সংসদে প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে সেটা নির্বাচিত হবে এবং তার পাওয়ার ফাংশনের মধ্যে আমরা যে সমস্ত বিষয় এখানে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, নিম্নপক্ষের বিষয়ে অর্থাৎ বিদ্যমান যেটা আমরা জাতীয় সংসদ হিসেবে জানি। সেখানে বর্তমান পদ্ধতি যেভাবে নির্বাচিত হয় সরাসরি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংসদীয় আসন। সেই এই জাতীয় কমিশনের পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাবে সেটাই বলা হয়েছে। আমরা সেটাতে একমত। হয়তো দুই একটি দল আলাদা কোন মতামত থাকতে পারে। এখন এই দুইটি বিষয়েই আজকে অনিষ্পন্ন রয়ে গেল।

'আজ জুলাই সনদ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে কিছু হতাশায় প্রকাশ করা হয়েছে এ, সকল রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতে আসতে পারছে না এবং এর কারণে তারা যে জুলাই সনদ দিতে চাচ্ছিল বা জাতীয় সনদ যেটা বলছে সেটাও তারা দিতে পারছে না। বিএনপির অবস্থানটা কি ' এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত জুলাই সনদ বলি বা জাতীয় সনদ বলি। এ বিষয়ে স্বাক্ষরিত হওয়ার জন্য সবচাইতে বেশি আন্তরিকতা আমরা প্রদর্শন করেছি।

আমরা জাতীয় মূলনীতির ক্ষেত্রে আমরা আমাদের অবস্থান জানিয়েছি। আমরা কি বিষয়ে একমত? আমরা ৭০ অনুচ্ছেদের ব্যাপারে আমাদের পজিশন জানিয়ে আমরা সেখানে একমত হয়েছি এবং সেটা জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত হবে। সবাই সেটা একমত হয়েছি এবং এরপরে পার্লামেন্টের স্থায়ী কমিটিগুলোতে সভাপতিত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে বিরোধী দলের কাছে সভাপতিত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা তখন একমত হয়েছি, চারটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটিসহ আর আসনের সংখ্যার অনুপাতে যা পাবে বিরোধী দল , সেখানে হয়তো এক তৃতীয়াংশ আসতে পারে সেগুলো বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।

আমরা প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের ক্ষেত্রে যেটা জীবদশায় বা সারাজীবনে কোন ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী আসনে বহাল থাকবেন না, সে বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। তবে ওখানে আমাদের একটা শর্ত ছিল যে এনসিসি মতো বা সাংবিধানিক নিয়োগ কমিটির মত কোন বিষয় এখানে আমরা থাকলে সে হয়তো আমরা সেই বিবেচনাটা আগের প্রস্তাব অনুসারে যেতে হবে আমাদেরকে। সেই বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। রাষ্ট্রপতির নির্বাচন ক্ষেত্রে আমরা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে এমপিরা ভোট দিতে পারবে সেই বিষয়ে একমত হয়েছি। তো ঐক্যমত তো পোষণ হচ্ছে।

(ঢাকা টাইমস/২৯জুন/জেবি/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিখোঁজ শিক্ষার্থী মাহিরা বিনতে পুলিকে সাভার থেকে উদ্ধার
পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিখোঁজ সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী পুলি, থানায় জিডি
আমেরিকায় গিয়েই ‘নিরুদ্দেশ’, সরিয়ে দেওয়া হলো গুলশানের সেই ওসিকে
স্ত্রী তালাক দেওয়ায় এক মণ দুধ দিয়ে গোসল করলেন স্বামী
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা