ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের আওলাদ ও আ.লীগ নেতা জুয়েল গ্রেপ্তার, ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন আওলাদ ও খিলগাঁও থানার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জুয়েলকে গ্রেপ্তার করেছে খিলগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সহধর্মিণী আফরোজা আব্বাসকে মারধরের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলারও এজাহারনামীয় আসামি।
শনিবার রাতে তুরাগ এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় আসামিদের গ্রেপ্তার করে খিলগাঁও থানা পুলিশের সদস্যরা। রবিবার তাদেরকে ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিন দুপুরে এই দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, আজ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য রবিবার আসামিদের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক মো. আবু সায়েম।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমাতে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। গত ৪ আগস্ট খিলগাঁও থানাধীন গোরান এলাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়া ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমাতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজসে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়ের সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের সশস্ত্র হামলায় খিলগাঁও এলাকায় বহু ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারন জনতা হতাহত হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয় সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সহধর্মিণী আফরোজা আব্বাসকে মারধরের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলারও আসামি। মামলাটি বর্তমানে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অব ব্যুরোতে (পিবিআই) তদন্তাধীন রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৯জুন/এলএম)

মন্তব্য করুন