দলীয় পরিচয় নয়, বিচার চাই: মুরাদনগর ধর্ষণে কায়কোবাদের কঠোর অবস্থান

কুমিল্লার মুরাদনগরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। একই সঙ্গে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে গ্রেপ্তারে সন্তোষ প্রকাশ করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
২৯ জুন (রবিবার) এক বিবৃতিতে কায়কোবাদ বলেন, ‘অপরাধীর ধর্মীয় বা রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, তার বিচার ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতেই হবে।’
তিনি অভিযোগ করেন, যদি ফজর আলী আওয়ামী লীগের কর্মী হয়ে থাকেন, তবে তাকে আশ্রয় ও প্রশ্রয়দাতাদেরও চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘অপরাধী যে দলেরই হোক, তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া চলবে না।’
বিবৃতিতে কায়কোবাদ আরও বলেন, নির্যাতনের শিকার ওই নারী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং স্থানীয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি ধর্ম-বর্ণ ও রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে মুরাদনগরের সকল মানুষকে এই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
২৬ জুন আনুমানিক রাত ৮টায় মুরাদনগর থানাধীন রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামে ফজর আলী ওরফে ফজর একই গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এলাকার লোকজনের হাতে আটক ও প্রহৃত হন। পরবর্তীতে আহত ফজর আলী সেখান থেকে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু লোক তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
সংবাদ পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করে। ভিকটিমের লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে মুরাদনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়।
এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলী ওরফে ফজরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করার অপরাধে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৯ জুন/এসএস)

মন্তব্য করুন