চুক্তি হলে চার দেশের সঙ্গেই হবে: কাতার

উপসাগরীয় চার দেশের সঙ্গে প্রায় তিন বছর ধরে চলা কূটনৈতিক বিরোধ নিরসনের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে কাতার। তবে ঠিক কবে নাগাদ এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে এই বিষয়ে তেমন কিছুই জানায়নি দেশটি। খবর আল জাজিরার।
শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেন, ‘এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে কিছুটা আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। আশা করি খুব দ্রুত কিছু একটা হবে।’
সমাধানের সময় নিদিষ্ট করে না বললেও আল থানি বলেছেন, ‘কোনো একটি নিদিষ্ট দেশের সঙ্গে চুক্তি হবে না। চুক্তি হলে চার দেশের সঙ্গেই হবে।’
বিরোধ মীমাংসাকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও জনগণের ভাগ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে আখ্যায়িত করে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পারস্পারিক শ্রদ্ধা এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের সব মানুষের অধিকারের ভিত্তিতে এই সংকটের অবসান হওয়া উচিত।’
সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা ও অর্থায়নকারী হিসেবে উল্লেখ করে গেল ২০১৭ সালের জুনে কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর।
নতুন করে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে জুড়ে দেয়া হয় ১৩টি শর্ত। যার মধ্যে অন্যতম হলো কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধ ঘোষণা করা। তবে প্রতিবেশী দেশগুলোর অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করে শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে কাতার।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে যাওয়ার আগে বড় সাফল্য পেতে মধ্যপ্রাচ্য সংকট সমাধানে নতুন নীতি গ্রহণ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছেন ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও জামাতা জ্যারেড কুশনার।
আলাপ-আলোচনার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে আল থানি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য আছে। তবে সম্পর্ক স্বাভাবিকের জন্য এখন আর কেউ কিছু দাবি করছে না। মতভেদ নিরসনে অবশ্যই আলোচনা হবে। সার্বভৌমত্বের ওপর পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে আমাদের সম্পর্ক তৈরি করা প্রয়োজন।’
(ঢাকাটাইমস/০৪ডিসেম্বর/এনএইচএস/জেবি)

মন্তব্য করুন