আ.লীগ আমলের তিন নির্বাচন কমিশনের সিইসিসহ সবার পাসপোর্ট বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৪ জুন ২০২৫, ১০:৩৫| আপডেট : ২৪ জুন ২০২৫, ১২:১৮
অ- অ+

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত শেখ হাসিনা সরকারের আমলের তিন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সদস্যদের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। সম্প্রতি তাদের পাসপোর্ট বাতিল করা হয় বলে দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

এরপর আজ ঢাকাটাইমস পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নিজস্ব সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হয়েছে।

ওই তিন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য ১২ জন নির্বাচন কমিশনারের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়।

তাদের মধ্যে সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদাকে গত রবিবার উত্তরা থেকে আটক করে পুলিশ। তার আগে তাকে মব সৃষ্টি করে জনতা হেনস্তা করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

সোমবার কে এম নুরুল হুদাকে আদালতে তুলে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহম্মদ নুরস ছালাম তিন নির্বাচন কমিশনের সিইসিসহ সব সদেস্যের পাসপোর্ট বাতিলের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

প্রাধিকার অনুযায়ী সিইসিসহ সাবেক কমিশনাররা কূটনৈতিক মর্যাদার লাল পাসপোর্ট পান, যা ডিসি আদ্যক্ষর দিয়ে শুরু হয়। তবে অবসর গ্রহণের পর বিশেষ সুবিধার লাল পাসপোর্ট সমর্পণ করে তাদের সাধারণ পাসপোর্ট নিতে হয়। নিয়মানুযায়ী বিগত তিনটি কমিশনের প্রত্যেকে পরবর্তী সময়ে সাধারণ (ই-পাসপোর্ট) গ্রহণ করেন।

তিন কমিশনের সর্বশেষটি ছিল কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন। এই কমিশনের অধীনে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনটি দেশে ডামি ভোটের নির্বাচন বলে পরিচিত। ওই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকারী কমিশনের অন্য সদস্যরা ছিলেন— মোহাম্মদ আলমগীর, আনিসুর রহমান, আহসান হাবিব খান ও রাশিদা সুলতানা।

এর আগে ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সিইসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কে এম নুরুল হুদা। তার নেতৃত্বাধীন কমিশনের আয়োজনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশে রাতের ভোট হিসেবে পরিচিত।

হুদার ভাগনে এস এম শাহজাদা ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

নির্বাচনের সময় সহিংসতা নিয়ে সমালোচনা করায় ২০২২ সালের জানুয়ারিতে হুদা তার সহকর্মী নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারকে মিথ্যাবাদী বলে অভিহিত করেন।

এই কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন— কবিতা খানম, রফিকুল ইসলাম ও শাহাদাত হোসেন।

২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে কাজী রকিবউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন কমিশন। তাদের সময়ে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি বিনা ভোটের নির্বাচন বলে পরিচিত। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ১৫২ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে কমিশন।

এই কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন— মো. শাহ নেওয়াজ, মোহাম্মদ আবু হাফিজ, মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলায় ১৬ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে তদন্ত সংস্থা
রাসায়নিক নমুনা সংগ্রহ ও শনাক্তকরণে কাস্টমস ও পুলিশের জন্য দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ
চীন নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে অপেক্ষায় আছে: মির্জা ফখরুল
টেকনাফে বিদেশি পিস্তল-ইয়াবাসহ দুই মাদককারবারি আটক
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা