বুধবার পরিবেশ ও বৃক্ষমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

বুধবার থেকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে শুরু হচ্ছে পরিবেশ ও বৃক্ষমেলা। মেলা উদ্বোধন করবেন নোবেল বিজয়ী ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২৪, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ জাতীয় পুরস্কার ২০২৫ এবং বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার ২০২৪ প্রদান করা হবে। একইসঙ্গে সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মাঝে লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হবে।
এ বছরের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য— “প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়” এবং বৃক্ষরোপণ অভিযানের প্রতিপাদ্য— “পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি”।
গতকাল সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, পরিবেশ মেলা চলবে ২৫ থেকে ২৭ জুন, আর বৃক্ষমেলা চলবে ২৫ জুন থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
উপদেষ্টা আরও জানান, মেলার অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক, স্লোগান প্রতিযোগিতা, সেমিনার এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি আয়োজন করা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বৃক্ষমেলা ও শিক্ষার্থীদের মাঝে চারা বিতরণ করা হবে। এসএমএস প্রচারণা, ব্যানার স্থাপন ও জনসম্পৃক্ত কর্মসূচির মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ১৯৯৫-৯৬ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ৪ লাখ ২৬ হাজার হেক্টর ব্লক বাগান, ৭২ হাজার কিমি স্ট্রিপ বাগান সৃজন করা হয়েছে এবং ২০ কোটির বেশি চারা রোপণ ও বিতরণ করা হয়েছে। সামাজিক বনায়নের ২ লাখ ৫০ হাজার উপকারভোগীর মাঝে ৫০৫ কোটি টাকারও বেশি লভ্যাংশ বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে হাতি, শকুন, শাপলাপাতা মাছ, পরিযায়ী পাখি, হাঙর, ডলফিন ও ঘড়িয়াল সংরক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। হালনাগাদ করা হয়েছে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, বাতিল করা হয়েছে মৌলভীবাজারের লাঠিটিলার সাফারি পার্ক প্রকল্প এবং পূর্বাচলে নতুন জীববৈচিত্র্য অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. খায়রুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।
(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/এলএম)

মন্তব্য করুন