আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালু রাখার দাবি আটাব ও বায়রার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল ২০২১, ২০:১১
অ- অ+
ফাইল ছবি

বুধবার থেকে সারাদেশে টানা আট দিনের জন্য ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ সময়ে প্রবাসী কর্মীদের ফ্লাইট চালু রাখার দাবি জানিয়েছে ট্রাভেল এজেন্সি মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)। প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে আন্তর্জাতিক পথগুলোয় ফ্লাইট চালু রাখার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানায় আটাব। সংবাদ সম্মেলন থেকে বিদেশ থেকে ছুটিতে আসা এবং নতুন ভিসা পাওয়া কর্মীদের সময়মতো কর্মস্থলে যাওয়া নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ফ্লাইট চালুর দাবি জানানো হয়েছে।

এদিকে একই দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জনশক্তি রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা)। ডিআরইউয়ের নিচতলার মিলনায়তনে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি বলে, জনশক্তি খাতকে জরুরি সেবা খাত হিসেবে বিবেচনায় এনে এটিকে চলাচলের নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত করে আন্তর্জাতিক পথগুলোয় প্রবাসী কর্মীদের পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক।

বায়রা জানায়, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইনসহ প্রবাসে কর্মী প্রেরণকারী দেশগুলো লকডাউনের মধ্যেও জরুরি খাত হিসেবে বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানো বন্ধ হলে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো বন্ধ করা হলে পরে কর্মী গ্রহণকারীদেশগুলো আবার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে অনীহা প্রকাশ করতে পারে।

বুধবার থেকে সারা দেশে টানা আট দিনের জন্য ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হচ্ছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক সব পথে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে।

আটাবের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি মনছুর আহামেদ কালাম। তিনি বলেন, ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণপথে সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। অনেক প্রবাসী ছুটি নিয়ে জরুরি প্রয়োজনে বর্তমানে দেশে আছেন। তাদের অনেকের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণও হতে চলেছে। তারা এয়ারলাইনসের টিকিট সংগ্রহ করে কর্মস্থলে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। অনেক নতুন কর্মীও ভিসা পেয়েছেন। সময়মতো কর্মস্থলে না যেতে পারলে তাদের অনেকের ভিসা বাতিল হয়ে যাবে।

সরকারি বিধিনিষেধের সময়ের মধ্যে প্রবাসী কর্মীদের ফ্লাইট চালু রাখার দাবি জানিয়ে মনছুর আহামেদ কালাম বলেন, প্রবাসী কর্মীরা মূলত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় যাবেন। এসব দেশ বাংলাদেশি যাত্রী পরিবহনে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি। তারা কাজে যেতে না পারলে চাকরি হারানোর আশঙ্কা আছে। তিনি আরও বলেন, একজন প্রবাসীর আয়ের ওপর পুরো পরিবার নির্ভরশীল। চাকরি হারালে তাদের পরিবার পথে বসার উপক্রম হবে।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, কত দিন চলাচলে বিধিনিষেধ থাকবে, তা কেউ জানে না। অন্তত হাজার-বিশেক প্রবাসী কর্মী এই এক সপ্তাহে কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন না। প্রবাসী কর্মীরা নির্দিষ্ট সময়ে না পৌঁছালে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক পথে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সরকারি দপ্তরগুলোয় লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

আটাবের সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আটাবের মহাসচিব মো. মাজহারুল এইচ ভূঁইয়া, অর্থ সম্পাদক ফজলুর রহমান, হাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইয়াকুব শরাফতী প্রমুখ।

আর বায়রার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বায়রা সাবেক সভাপতি বেনজির আহমেদ, সাবেক সহসভাপতি আবুল বারাকাত ভূঁইয়া, সাবেক অর্থসচিব ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/বিইউ/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
টয়োটার ব্যবসা হারাচ্ছে নাভানা?
সারজিস বনাম নওশাদ: ভোটে কার পাল্লা ভারি?
মনোহরদীতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা গণধোলাইয়ের শিকার
গণভবন জয় করেছি, এবার জাতীয় সংসদও জয় করব: নাহিদ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা