ইউক্রেন সংকট: বেলারুশের সাথে সামরিক মহড়া শুরু রাশিয়ার

ইউক্রেন ইস্যুতে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই বেলারুশের সাথে দশ দিনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া।
বৃহস্পতিবার বিবিসি জানায়, প্রায় ৩০ হাজার সেনা যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেলারুশ রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ইউক্রেনের এর দক্ষিণ অংশের সাথে বেলারুশের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এই সামরিক মহড়ার সমালোচনা করেছে। এই সামরিক মহড়া কোল্ড ওয়ারের পরে ওই অঞ্চলে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় সামরিক পদক্ষেপ বলেও দাবি করে দেশটি।
ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখের বেশি রুশ সেনা মোতায়েন রয়েছে। যেকোনো সময় তারা ইউক্রেনে আক্রমণ করতে পারে বলে দাবি করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা। তবে, যেকোনো হামলার আশক্সক্ষা নাকচ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। মস্কোর মতে, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হলে ওই অঞ্চলে তার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকবে। ফলে, দেশটি যেন কোনোভাবে ন্যাটোর সদস্য হতে না পারে তার নিশ্চয়তা চাই রাশিয়া।
২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সশস্ত্র একটি গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে রাশিয়া।
ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্র যৌথ সামরিক মহড়াকে ‘গুরুতর’ বলে দাবি করেছেন। রাশিয়া ও বেলারুশ অপ্রত্যাশিত হুমকির মুখোমুখি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।
ইউক্রেন হামলা হলে এর প্রভাব পুরো ইউরোপ মহাদেশে ছড়িয়ে পরবে। হাজারো নাগরিক পালিয়ে অন্যান্য দেশে চলে যাবে। ফলে, শরণার্থী সংকট তৈরি হবে। আর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
সম্প্রতি, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়াকে সমর্থনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। ওই অঞ্চলে পশ্চিমা শক্তিদের আধিপত্য ঠেকাতে উভয় দেশ যৌথভাবে কাজ করবে বলেও জানায়।
অন্যদিক, নিরাপত্তা চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেনের সংকট নিরসন সম্ভব বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। বর্তমানে তিনি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন। পুতিনও যুদ্ধের পরিবর্তে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনে আগ্রহী বলে জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/আরআর)

মন্তব্য করুন