যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী: নয়াপল্টনে যুব সমাবেশ বৃহস্পতিবার

বিএনপির অন্যতম অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল বৃহস্পতিবার। দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নিয়েছে সংগঠনটি।
কর্মসূচির মধ্যে সকাল ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের কার্যালয়গুলোতে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলা ১১টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত, বিভাগীয় শহরে রক্তদান কর্মসূচি, বিভিন্ন সময়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্থ নেতাকর্মীদের পাশে দাড়ানো ছাড়াও দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে পোস্টার লাগানো হয়েছে।
১৯৭৮ সালের এই দিনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যুবদল প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম আবুল কাশেমকে আহ্বায়ক করে যুবদলের কমিটি গঠন করা হয়। পরে আবুল কাশেমকে সভাপতি ও সাইফুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হয়। এর পর বিভিন্ন সময়ে মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকতউল্লাহ বুলু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাইফুল আলম নীরব যুবদলের নেতৃত্ব দেন।
গত ২৭ মে যুবদলের আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে, সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে মোনায়েম মুন্নাকে। সিনিয়র সহসভাপতি পদে আনা হয়েছে মামুন হাসানকে, সহসভাপতি পদ দেওয়া হয়েছে নুরুল ইসলাম নয়নকে, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক করা হয়েছে শফিকুল ইসলাম মিল্টনকে, ২ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক করা হয়েছে গোলাম মওলা শাহীনকে। সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পেয়েছেন ইসাহাক সরকার।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি বিষয়ে মোনায়েম মুন্না বলেন, এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্লোগান হলো ‘বাংলাদেশ যাবে কোন পথে, ফায়সালা হবে রাজপথে’। দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আন্দোলনকে তরান্বিত করতে যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে যুব সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের তরুণ ও যুবকদের মধ্যে একটা বার্তা দেওয়া হবে। এছাড়া বিগত দিনের আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে এই কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেন, দেশের বর্তমান স্বৈরাচার শাসনে অতিষ্ঠ জনজীবনকে সামনে রেখে তারা অনাড়াম্বরভাবে নয়, রাজপথের দৃপ্ত শপথ নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করছেন। আগামীতে রাজপথের আন্দোলনকে গতি সৃষ্টি করতে এই দিবসে তারা শপথ নিবেন। সংগঠনের প্রত্যেক নেতাকর্মী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুতি নিয়ে রাজপথে নেমে আসবেন বলে প্রতিজ্ঞা করবেন এদিনে।
(ঢাকাটাইমস/২৬অক্টোবর/কেএম)

মন্তব্য করুন