সৌদি আরব প্রবাসী রুবেলের কফিনে এলো মোজাম্মেলের মরদেহ, অতঃপর...

সৌদি আরবে মৃত্যুর পরে মরদেহ দেশে আসার পর যশোরের রুবেল হোসেনের কফিনে পাঠানো হয়েছে কিশোরগজ্ঞের মোজাম্মেল হকের মরদেহ।
বুধবার রাতে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফনও করা হয়।
বৃহস্পতিবার জুলাই সন্ধ্যায় সেই মরদেহ কবরস্থান থেকে তুলে কিশোরগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ার বাগুড়ি গ্রামে।
যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের বাগুড়ী গ্রামের ফারুক হোসেন জানান, তার ছেলে রুবেল হোসেন (২২) এক বছর আগে একটি স্কুলের পরিচ্ছন্ন কর্মির কাজ নিয়ে সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে গিয়েছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় গত ৩ জুলাই বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সেদেশে ও বাংলাদেশে যোগাযোগ করে
বুধবার (২৬ জুলাই) রুবেলের মরদেহ দেশে আসার পর ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আমরা মরদেহের কফিকটি গ্রহণ করেন। কফিনের গায়ে রুবেলের নাম ও পাসপোর্ট নম্বর লেখা ছিল। ওই দিন বিকেলে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পর কফিন খুলে স্বজনরা মরদেহটি রুবেলের নয় বলে শনাক্ত করলেও প্রশাসনের লোকজনসহ সকলেই মৃত্যুদেহটি ফুলে বিকৃতি হয়ে গেছে বলে দ্রত দাফন সম্পন্ন করতে বলেন। এসময় স্থানীয়রা সংক্ষিপ্ত জানাজা দিয়ে সন্ধ্যায় সরকারি কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন সম্পন্ন করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সৌদি আরব থেকে সংবাদ পেয়ে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার জবদল গ্রামের তৈয়েব আলীর ছেলে মোজাম্মেল হকের স্বজনরা জানতে পারেন সৌদি থেকে ভুলক্রমে মোজাম্মেল হকের মরদেহ রুবেলের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। এ খবর পেয়ে মোজাম্মেল হকের স্বজনরা তার মরদেহ নিতে ছুটে আসেন শার্শায় রুবেলদের বাড়ি।
তারা জানায়, রবেলের মরদেহ এখনো দেশে আসেনি। সৌদির হিমঘর থেকে মরদেহ বদল হয়ে গেছে বলে সৌদি থেকে মোজাম্মেলের সহকর্মীরা জানিয়েছে। রুবেলের কফিনে মোজাম্মেলের মরদেহ এসেছে।
মোজাম্মেল হকের ভাতিজা নাহিদ হাসান জিকো জানান, সৌদির হিমঘর থেকে লাশ বদল হয়েছে। তার চাচা মোজাম্মেল হক গত ১৭ জুলাই সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে মারা যান। কর্তৃপক্ষের ভুল সনাক্তের কারনে মরদেহটি যশোরে এসেছে।
মোজাম্মেলের স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরে বৃহস্পতিবার সন্ধার দিকে প্রশাসনের উপস্থিতিতে বাগআঁচড়া সরকারি কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলনের পর মোজাম্মেলের বলে সনাক্ত করেন তার শ্যালক কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানার জবদল গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ইনামুল হক।
শার্শার কায়বা ইউপি চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন বলেন, তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মোজাম্মেল হকের মরদেহটি তার স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। রুবেলের মরদেহটি দেশে পৌছালে সেটা যাতে দ্রত শার্শার বাড়িতে পৌছায় সে ব্যাপারে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন।
(ঢাকাটাইমস/২৭জুলাই/এআর)

মন্তব্য করুন