চুয়াডাঙ্গার ২ আসনে নৌকার মাঝি হলেন যারা

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও চুয়াডাঙ্গা-২ (দামুড়হুদা-জীবননগর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসন:
চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে গঠিত ১ আসন। বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১৯৪৬ সালের ১৫ মার্চে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাধীন আরামপাড়ায় সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম মৃত সিরাজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার। তার আয়ের উৎস কৃষি জমি ও ব্যবসা।
১৯৬২ সালে চুয়াডাঙ্গা মহকুমা ছাত্রলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ১৯৭৯ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ২০০৪ সাল থেকে অদ্যবধী চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন কালে উন্নয়নমূলক কাজের বিবরণ
স্বাধীনতা যুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার ৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা দামুড়হুদার নাটুদহে সম্মুখ সমরে যুদ্ধে শহীদ হন। তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে সেখানে ৮ শহীদ স্মৃতি কমপ্লেক্স গঠন, আলমডাঙ্গার বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, নিজ উদ্যোগে দুটি পুলিশ ক্যাম্প তৈরি, চুয়াডাঙ্গা চৌরাস্তার মোড়ে শহীদ স্মৃতিফলক নির্মাণ, চুয়াডাঙ্গা শহীদ মিনার নির্মাণ, আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি কমপ্লেক্স ভবন, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, স্টেডিয়াম, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, যুব উন্নয়ন ভবন, সার্ভার পয়েন্ট ভবন, নির্বাচন কমিশন অফিস, পাবলিক লাইব্রেরী নির্মাণসহ রাস্তা ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসন
দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা ২ আসন গঠিত। হাজী আলী আজগার টগর ১৯৬৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পুরাতন বাজার এলাকায় সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তিনি দর্শনা সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তিনি ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। এছাড়া রাজনীতির শুরুতে দর্শনা কলেজ ছাত্রলীগ নেতা, দামুড়হুদার হাওলী ইউনিয়ন আ.লীগের সদস্য ও সব শেষ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তিনি তার আসনে স্কুল, কলেজ, ধর্মীয় সকল প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্টসহ যাবতীয় অবকাঠামোর উন্নয়ন করেন।
এর আগে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চুয়াডাঙ্গার দুইটি আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ব্যবসায়ী, পত্রিকার সম্পাদক ও চিকিৎসকসহ মোট ৩২ জন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নির্বাচনে লড়তে নৌকার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছিলেন মোট ১৫ জন। আর চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে ১৭ জন।
(ঢাকাটাইমস/২৬ নভেম্বর/ইএইচ)

মন্তব্য করুন