কোটি টাকার এফডিআর, গাড়ি-বাড়ি-জমি থাকলেও নিখিলের ঋণ পৌনে পাঁচ কোটি টাকা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনে তিনি দাখিল করেছেন নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব।
হলফ নামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মাইনুল হোসেন খান ও তার স্ত্রীর যৌথভাবে নগদ ২ কোটি ৫৫ লাখ ৫৯ হাজার ৭৮০ টাকা রয়েছে।
এছাড়াও মাইনুল হোসেন খান বা তার ওপর নির্ভরশীলদের যৌথভাবে নাবিল প্যাকেজিং এন্ড প্রিন্টিং ইন্ড্রাস্টিজ লিমিটেডের যৌথ হিসাবে জনতা ব্যাংক পিএলসিতে ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৯১ হাজার ৫০০ টাকা ঋণ রয়েছে।
হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, মাইনুল হোসেন খান পেশায় একজন প্যাকেজিং এন্ড প্রিন্টিং, রিয়েল এস্টেট এবং ১ম শ্রেণির ঠিকাদারি, আমদানি রপ্তানি ও সরবরাহকারী। তিনি বিএসসি পাস।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী মাইনুল হোসেন খান একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। ৩৪ লাখ ৪৭ হাজার ৬১০ টাকা মূল্যের একটি জমির (বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট) মালিক যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার বার্ষিক আয় ২৬ লাখ ২৫ হাজার ৯৭৮ টাকা। তার কৃষি জমির একটির পরিমাণ ০.০৬৪৩ একর যার মূল্য ৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা এবং আরেকটির পরিমাণ ৫৭.৫০ শতাংশ যার মূল্য ২৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা। অকৃষি জমির একটির পরিমাণ তিন কাঠার একটি প্লট যার মূল্য ৪ লাখ ৭১ হাজার ৬০০ টাকা, যেখানে যৌথ মালিকানায় রয়েছে ৫.৪৮ শতাংশ এবং পৈত্রিক সূত্রে ২/১৭ অংশ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী মাইনুল হোসেন খানের নিজ নামে নগদ টাকা রয়েছে ২৪ লাখ ১৬ হাজার ৮৯১ টাকা এবং স্ত্রীর নামে নগদ টাকা রয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৯৮৬ টাকা। এর মধ্যে নাবিল প্রোপার্টিজে নিজ নামে শেয়ারের পরিমাণ রয়েছে ৮ হাজার, যার মূল্য ৮ লাখ টাকা। আর তার স্ত্রীর নামে শেয়ার রয়েছে ২ হাজার, যার মূল্য ২ লাখ টাকা। নাবিল প্যাকেজিং অ্যান্ড প্রিন্টিংয়ে নিজ নামে শেয়ারের পরিমাণ রয়েছে ৬২ হাজার যার মূল্য ৬২ লাখ টাকা এবং স্ত্রীর নামে শেয়ারের পরিমাণ রয়েছে ২৬ হাজার যার মূল্য ২৬ লাখ টাকা এবং নির্ভলশীলের নামে নাবিল প্যাকেজিং অ্যান্ড প্রিন্টিংয়ে শেয়ার রয়েছে ৬ হাজার যার মূল্য ৬ লাখ টাকা। মাইনুল হোসেন খানের নিজ নামে একটি ১ কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে। ঢাকা মেট্রোর তিনটি পরিবহন রয়েছে যার মূল্য ১ কোটি ১৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। স্ত্রীর অলংকার বাবদ স্বর্ণ রয়েছে ৫০ ভরি, যার আনুমানিক কোনো মূল্য হলফনামায় উল্লেখ করেননি তিনি। তার ইলেকট্রনিকস সামগ্রী হিসেবে টিভি ১টি, এসি ১টি, ফ্রিজ ১টি যার মূল্য ১ লাখ টাকা। তার স্ত্রীর ইলেকট্রনিকস সামগ্রী হিসেবে রয়েছে, এসি ১টি, ওভেন ১টি যার মূল্য ৫০ হাজার টাকা। আসবাবপত্র হিসেবে তার খাট ২টি, সোফা ১টি, ওয়ারড্রব ১টি, আলমারি ১টি যার মূল্য ১ লাখ টাকা। তার স্ত্রীর আসবাবপত্রের মধ্যে রয়েছে খাট ১টি, ড্রেসিং টেবিল ১টি, কেবিনেট ১টি যার মূল্য ৫০ হাজার টাকা।
মাইনুল হোসেনের নামে পল্লবী থানায় একটি মামলায় ২০০৭ সালের মে মাসের ২২ তারিখে খালাস পান এবং পল্টন থানায় ২০১১ সালের জুলাই ১৯ তারিখে একটি মামলায় ফৌজদারী কার্যবিধির ২৪১(এ) ধারায় ডিসচার্জ করা হয়েছিল। যুগ্ন দায়রা জজ আদালতে ৪র্থ আদালত এবং ৫ম আদালত কর্তৃক দুটি দায়রা মামলার দুটিতেই জামিনে মুক্ত থেকেই একটিতে আগামী ২০২৪ সালের মার্চের ১৩ তারিখ বাদী পক্ষকে জেরা এবং আরেকটিতে আগামী ২০২৪ সালের নভেম্বরের ৩০ তারিখে যুক্তিতর্ক শুনানি এবং রায় প্রচার হবে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি।
(ঢাকাটাইমস/০৮ডিসেম্বর/এমএইচ)

মন্তব্য করুন