আইনজীবী হত্যাসহ পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাসহ পাঁচ মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু বক্কর সিদ্দিক এ আদেশ দিয়েছেন।
চিন্ময় দাসের পক্ষে এদিন তার আইনজীবীরা আলিফ হত্যা, আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের ওপর আক্রমণ, হামলা-ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের হওয়া পাঁচটি মামলায় জামিনের আবেদন করেছিলেন। এসব মামলার এজাহারে চিন্ময় আসামি ছিলেন না। পরবর্তীতে পুলিশ তদন্তে তার সম্পৃক্ততা থাকার তথ্য উল্লেখ করে আদালতে তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে।
আদালতের নির্দেশে কারাগারে থাকা চিন্ময়কে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এছাড়া প্রতিটি মামলায় তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতিও পায় পুলিশ।
চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা থেকে আসা আইনজীবী পাঁচটি মামলায় চিন্ময়ের জামিনের আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।’
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানোর নির্দেশকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে চিন্ময়ের অনুসারীরা। প্রায় তিনঘন্টা তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আদালত এলাকায় আটকে রাখে তারা। একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে নগরীর লাল দিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালি এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়।
আইনজীবী আলিফ হত্যা, পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা, গাড়ি ভাঙচুর, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালি থানায় মোট ছয়টি মামলা হয়। এরমধ্যে আইনজীবী খুনসহ পাঁচটি মামলায় চিন্ময়কে আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার দেখানো হয়।
(ঢাকাটাইমস/০৩জুন/এমআর)

মন্তব্য করুন