নারী, মদ, তাস— এই তিনে সর্বনাশ: হবিগঞ্জের নবাগত এসপি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩:১৪
অ- অ+

হবিগঞ্জ জেলা পুলিশকে ভিন্ন রকমের পুলিশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন নবাগত পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, নারী, মদ, তাস এই তিনে সর্বনাশ। আজ থেকে জেলায় এসব বন্ধে রুদ্ধদ্বার অভিযান চলবে।

হবিগঞ্জ জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন।

রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন, বিপিএম-সেবা সাংবাদিকদের মতামত এবং বক্তব্য অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেন।

পরে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তার পরিবারের সকল শহীদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ও রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

একই সঙ্গে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের প্রথম প্রহরে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ সকল পুলিশ সদস্যসহ ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

নবাগত পুলিশ সুপার তার বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিকরা হচ্ছে সমাজের দর্পণ। সমাজের বিভিন্ন অসংগতি এবং আইন-শৃঙ্খলা অবনতি সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো সাংবাদিকদের রির্পোটের মাধ্যামে উঠে আসে। পুলিশ এবং সাংবাদিকরা একত্রে হবিগঞ্জ জেলা তথা দেশের কল্যাণে কাজ করলে দেশ এগিয়ে যাবে। পুলিশ এবং সাংবাদিকদের পারস্পারিক হৃদ্যতার ভিত্তিতে কাজ করে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, মাদক মুক্ত সমাজ, সন্ত্রাস মুক্ত, যানজট মুক্ত এবং সর্বপুরি ফৌজদারি অপরাধ মুক্ত একটি সুখী সুন্দর হবিগঞ্জ জেলা উপহার দিতে পারে। জেলা পুলিশও ব্যাপারে বদ্ধ পরিকর।

সাংবাদিকরা তাদের বক্তব্যে বিভিন্ন পুলিশ সদস্যেদের নানান ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে পুলিশ সুপারকে অবগত করলে তিনি তদন্ত তরে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

কয়েকজন সাংবাদিক হবিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার সদ্য বদলীকৃত এসআই অভিজিৎ ভৌমিক (বর্তমানে এপিবিএন ঢাকা), বর্তমানে কর্মরত এসআই রিয়াজ উদ্দিন, পুলিশ সদস্য আনিসুর রহমান, আলিম খান হবিগঞ্জ সদর থানার এসআই মুমিনুল ইসলামের নামে প্রকাশ্যে ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, ওই সকল পুলিশ সদস্য জেলায় এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তারা করেননি।

ওই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, জুয়া খেলা পরিচালনা, বিভিন্ন ব্যক্তিকে ধরে এনে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়সহ একাধিক অভিযোগ করেন।

পরে নবাগত পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন-বিপিএম সেবা সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করে বলেন, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাদকের বিরুদ্ধের জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে জেলা পুলিশের নতুন এই অভিভাবক বলেন, আমার কোন পুলিশ সদস্য যদি মাদক সেবন, পরিবহন বা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সময় তিনি মাদককে সকল অপরাধের মা-বাবা উল্লেখ করে বলেন, মাদক বন্ধ হলে সমাজের অর্ধেকের বেশি অপরাধ কমে যায়। মাদকসেবীরা টাকার জন্য চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, খুন কারাপি সহ যে কোন ধরনের অপরাধ করে বসে। মাদকের নেশায় তাদের মস্তিষ্কে কাজ করে না। তাদের মস্তিষ্কে এক ধরনের বিকৃতি চলে আসে। আর ওই সময় সে যে কোন ধরনের অপরাধ করতে দ্বিধা করে না। আজ থেকে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ হবে এক ভিন্ন রকমের পুলিশ, যোগ করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১৭ডিসেম্বর/এআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ক্রীড়াপ্রেমীদের ঢল, অলিম্পিয়ানদের সম্মাননা দিলেন সেনাপ্রধান
আ.লীগ আমলের তিন নির্বাচন কমিশনের সিইসিসহ সবার পাসপোর্ট বাতিল
প্রথম প্রেমের স্পর্শ: পর্ব ৩- একটি অসমাপ্ত সকাল
যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিথ্যা বলেছেন ট্রাম্প!
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা